মহামারি করোনার প্রকোপের কারণে এবার ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বাড়লেও আদায় কিছুটা কমে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২১-২২ করবর্ষে মোট আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে প্রায় ২৩ লাখ। এর বিপরীতে কর আদায় হয়েছে ৩ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। গতবার এ সময়ে ২১ লাখ ৫১ হাজার ৩২৬টি রিটার্নের বিপরীতে কর আহরণ হয়েছিল ৪ হাজার ১০ কোটি টাকা।
গতবারের তুলনায় রিটার্ন ১ লাখ ৪৮ হাজার বা প্রায় ৭ শতাংশ বাড়লেও কর আদায় কমে গেছে ৭২৯ কোটি টাকা বা শতকরা ৯ ভাগ। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় ছিল ২ জানুয়ারি রোববার পর্যন্ত। এর এক দিন পর সোমবার হিসাব চূড়ান্ত করেছে এনবিআর।
এ বিষয়ে এনবিআরের কর্মকর্তারা বলেছেন, রিটার্নের সংখ্যা আরও বাড়বে। কারণ যারা সময় চেয়ে আবেদন করেছেন, তাদের হিসাবে বিবেচনায় আনা হয়নি।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এবার সময় চেয়ে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮২ জন। এদের আবেদন গ্রহণ করলে রিটার্ন সংখ্যা ২৬ লাখ ৬২ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। গতবার আবেদনসহ রিটার্ন জমা পড়েছিল প্রায় ২৪ লাখ ৩১ হাজার। আয় থাকুক আর না-ই থাকুক, ব্যক্তিশ্রেণি করদাতার বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। যার কোনো আয় নেই, তিনি রিটার্নে আয় শূন্য দেখাতে পারবেন। বর্তমানে কোনো ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও যাতায়াত ভাতা বাদ দিয়ে বছরে আয় ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত।
এর বেশি আয় হলে প্রযোজ্য হারে কর দিতে হয়। আয়ের স্তরভেদে সর্বনিম্ন করহার ৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ৭০ লাখের বেশি।
সানবিডি/এনজে