কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে নবম দফায় স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক ৪১৪ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসনচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ২টার দিকে (প্রথম অংশে) উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে আটটি বাসে চট্টগ্রামে রওনা দেয় তারা। এর আগে সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তায় রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ সামছু-দৌজা জানান, এবার চার শতাধিক রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছে। তাদেরকেও পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
ভাসানচরে অবস্থানরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি (সিআইসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, সব মিলিয়ে কতজন রোহিঙ্গা এবার ভাসানচরে আসছে বলা মুশকিল। এখানে পৌঁছানোর পর নিজ সেন্টারে তুলে দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে অষ্টম দফায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়। এ ছাড়া গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে রাখা হয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
সানবিডি/এনজে