বিভিন্ন গবেষণায় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। এখন তরিতরকারি, মাছ, মাংস সারা বছর পাওয়া যাচ্ছে। এটি বিভিন্ন গবেষণার ফসল। গবেষণার কারণে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে।
বুধবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ এবং গবেষকদের বিশেষ অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দানকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময়ই শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছি। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত আমরা নানা শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। ৩ লাখ ৮ হাজার ছেলেমেয়েকে ব্যাচেলর ডিগ্রিতে স্কলারশিপ দিয়েছি। আমরা গবেষণার জন্যও নানা বৃত্তি দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ড. কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যার পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেই শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে আমরা শিক্ষার ওপর ফের জোর দিই। স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধির কারণে ইউনেস্কো আমাদের পুরস্কার দিয়েছে। সেখান থেকে প্রাপ্ত টাকা আমরা উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি হিসেবে দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের উদ্যোগ নিই। আমরা ইচ্ছাকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিই, যেন শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানবিষয়ক পড়াশোনায় উদ্বুদ্ধ হয়। দেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় একটি ছিল। আমরা সে সংখ্যা চারে নিয়ে গেছি। এ ছাড়া মেরিন, টেক্সটাইল ও মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি।’
সানবিডি/ঢাকা/এসএস