প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দু’আড়াই বছরের নাতনি দারুণ আইপ্যাড চালায়। আর তা দেখেই তিনি অনুমান করতে পারেন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম কত দূর এগিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার দুই থেকে আড়াই বছরের নাতনি যখন আইপ্যাড চালায়, তখন বুঝি তরুণ প্রজন্ম অনেক দূর এগিয়ে গেছে।’
উপস্থিত প্রযুক্তি গবেষকদের উদ্দেশে হাসিনা বলেন, ‘এখানে যারা আছেন, তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞানী। কারণ তারা এখন প্রযুক্তি হাতের কাছে পাচ্ছে। তাদেরকে দেখলে মনে হয় মায়ের পেট থেকে শিখে আসছে। তাদেরকে খুব একটা শিখতে হয় না।’
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ ও এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় গবেষকদের মাঝে বিশেষ অনুদানের চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘কাজের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হলে যে কোনো কাজে সফলতা আসবে। তাই কাজে নিবেদিত হতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি, কেউ আমাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা এগিয়ে যাব।’
পদ্মাসেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করছি।’
বাংলাদেশের সংগ্রামের ইতিহাস বর্ণনা করে হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জনে আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীন দেশে তিনি শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নেন। স্বাধীন দেশের সংবিধানেও শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন তিনি।’
বিষয়ভিত্তিক ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য উন্নয়নশীল দেশ গড়া। এ জন্য দরকার গবেষণা। কারণ গবেষণা ছাড়া কোনো ক্ষেত্রে উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের দেশে কৃষিজমির পরিমাণ কমেছে। কিন্তু খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। এটা এমনিতে বাড়েনি। গবেষণার ফলে বেড়েছে। ৯৬ সালে গবেষণার জন্য ১২ কোটি টাকা দিয়েছি। এটা এখন কম মনে হলেও তখন কিন্তু এটি অনেক বেশি ছিল।’
নিজেকে আগের চেয়ে সচেতন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখন অনেক সচেতন। আর এ জন্য ভবিষ্যতে কেউ ক্ষমতায় গেলে যেন উন্নয়ন কাজে হাত দিতে না পারে সেজন্য ট্রাস্ট গঠন করে কাজ করে যাচ্ছি।