ক্ষমতা কমছে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের। পিপিপি কর্তৃপক্ষকে অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। প্রবিধান করার ক্ষেত্রেও নিতে হবে সরকারের অনুমতি। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কর্মচারীরা সরকারি কর্মচারী হিসেবেও বিবেচিত হবেন না।
এমন কিছু বিধান যুক্ত করে ‘বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (সংশোধন) আইন, ২০২১’ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) আইনের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,‘আইনের ৪, ৮, ৯, ১০, ১১, ২৩, ২৬, ৩৬, ৩৭, ৪১ ও ৪৫- এই ধারাগুলো হয়তো প্রতিস্থাপন হবে অথবা বিলুপ্ত হবে। বোর্ড অব গভর্নেসের মিটিংয়ে সব সময় প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। যদি উনি না থাকেন, সেক্ষেত্রে ভাইস-চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করতে পারবেন, এমন একটি নিয়ম আনা হচ্ছে। ভাইস-চেয়ারম্যান হচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।’
কর্তৃপক্ষের কর্মচারীরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিবেচিত হবেন না বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগের আইনে পিপিপি কর্মচারীদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে ডিক্লেয়ার করা ছিল। কিন্তু এটি তো সংবিধিবদ্ধ একটা অর্গানাইজেশন। সুতরাং তারা সরকারি অর্গানাইজেশন হিসেবে বিবেচিত হবেন না।’
এএ