‘সকাল হওয়ার সাথে সাথেই ব্যাগ নিয়ে ছুটতে হয়। তারপরও এসে দেখি রুমের সামনে ব্যাগের সিরিয়াল । পরে রুমে ফিরে যেতে হয়।’ এটা কোন চালের দোকান বা আটার দোকানের সামনের দৃশ্য নয়। এই চিত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের রিডিং রুমের সামনের। এমন সব বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় সোহেল, আতিকুল্লাহ্ মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা বললেন, তাদের দুর্দশার কথা। পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রির্সোস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী লতিফা ইয়াসমিন দিতি বলেন, ‘আমি ভোর ৬টায় আসি সিরিয়াল দিতে তারপরও এসে দেখি আমার আগেও ছয়জন ব্যাগ রেখেছে। আসলে প্রতিদিনই এখানে অনেক বেশি শিক্ষার্থীরা আসছে তবে না ঢুকতে পারায় চলে যায়। আমার মতো মেয়েদের পক্ষে এতো সকালে আসাটা খুবই কষ্টকর ও ভয়ের। তারপরও আসতে হয়, না আসলে তো রিডিং রুমে পড়তেই পারবো না। তিনি বলেন, যেহেতু দিন দিন শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়ছে তাই আসন বৃদ্ধি করা উচিত।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের রিডিং রুমে আসন সীমিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আসন বৃদ্ধির দাবিতে গত সোমবার বেলা ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা রিডিং রুমে প্রবেশ না করে গণস্বাক্ষর সংযুক্ত আবেদন নিয়ে গ্রন্থাগার প্রশাসকের কাছে যান।
আরেক সাধারণ শিক্ষার্থী অর্থনীতি বিভাগের মার্স্টাসের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘রিডিং রুমে ডেস্ক এবং টেবিল আছে যেখানে মোট ৬০-৬৫জন বসে পড়তে পারে। কিন্তু দেখা যায় সকাল থেকেই এখানে ব্যাগ রেখে সিরিয়াল দিতে হয় এবং একটা সময় নির্দিষ্ট আসন চাইতেও বেশি শিক্ষার্থী আসে। ফলে সবাই এখানে ঢুকতে পারে না। এতে করে এখানে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা ঢুকতে না পারায় বিড়ম্বনায় পড়েন। গ্রন্থাগার প্রশাসক আমাদের বলেছিলেন তোমরা ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত অপেক্ষা করো, কিন্তু অতিশয় চাপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা স্যারের কাছে আসতে বাধ্য হয়েছি। তিনি (প্রশাসক) আমাদের বলেছেন আলোচনা করে আপাতত পাশের স্টোর রুমটা খুলে দেওয়া হবে।’
শিক্ষার্থীরা জানান, রিডিং রুম সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রশাসকের সাথে দেখা করলে প্রফেসর সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, আসলে এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না । তবে আমি উপ-উপার্চাযের সাথে কথা বলবো। আপাতত পাশের স্টোর রুমটা আলোচনা করে খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।
সানবিডি/ঢাকা/হৃদয়/এসএস