জেনে নিন যেসব খাবারে বাড়ে ক্যানসারের শঙ্কা

আপডেট: ২০১৬-০২-১০ ১৯:৪৫:০২


feature 2_101636_1খাবারগুলো হয়ত আপনার খুব পছন্দের। কিন্তু জানেন কি?  এই খাবারগুলোই আপনার মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এগুলোর বেশিরভাগই প্রসেসড ফুড। আর এর ফলেই শরীরে ঢুকছে বিষ। দীর্ঘদিনের জন্য খাবার সংরক্ষণ করে রাখতে এমন এমন প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।

১. মাইক্রোওয়েভ পপক্রন: ব্যাগে করে বিক্রি হয় অনেক কোম্পানির মাইক্রোওয়েভ পপক্রন। যার ফলে শরীরে ঢুকতে পারে পারফ্লুওরুকট্যানোইক অ্যাসিড। যা একটি কার্সিনোজেনিক উপাদান।

২. ক্যানড ফুড: এ ধরনের খাবারে থাকে বাইফেনল-A, সংক্ষেপে  BPA। যার প্রভাবে মস্তিষ্কের ভেতর জিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়।

৩. প্রসেসড মিট:  নানা রকম ভাবে মাংসকে প্রসেস করে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রকমের স্ন্যাকস। হটডগ, সসেজ, বেকন, বার্গার। প্রসেসড মাংসকে সুস্বাদু করার তালে ব্যবহার করা হচ্ছে নানা ধরনের প্রিজারভেটিভ। যা শরীরে ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।

. ভেড়িতে চাষ করা মাছ: ভেড়িতে চাষ করা মাছে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি। এত বেশি পরিমাণে ভেড়িতে রাসায়নিক, কীটনাশক ও ওষুধ প্রয়োগ করা হয় যে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক।

. পোটাটো চিপস: চিপস খেতে আপনি প্রচণ্ড ভালোবাসেন। ঘরে বাইরে চায়ের সঙ্গে, অফিসে কাজ করতে করতে চিপস না হলে ঠিক চলে না। চিপসের প্রতি এতো আসক্তি কিন্তু আপনার যম হয়ে দেখা দিতে পারে। প্রচণ্ড তাপমাত্রায় চিপস যখন ভাজা হয়, তখন তৈরি হয় অ্যাক্রিলামাইড, যা পাওয়া যায় সিগারেটেও। ফলে সিগারেট ও চিপস, দুই-ই একইরকমভাবে কার্সিনোজেনিক।

. হাইড্রোজেন অয়েল: বাজারে মুনাফা তোলার তাগিদে সবাই ব্যস্ত কী করে তাদের পণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। কী করে পণ্যকে দীর্ঘায়ু করা যায়। কী করেই বা এর স্বাদ আরও বাড়ানো যায়। এই করতে গিয়ে বিভিন্ন ভেজিটেবল অয়েলের সঙ্গে হাইড্রোজেনের বিক্রিয়া ঘটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে হাইড্রোজেনেটেড অয়েল। যা আপনার শরীরের কোষপর্দা (Cell Membrane)-কে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

. ময়দা:  ময়দায় ক্যানসার! তাহলে লুচি-পরোটার কী হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রসেসড যেসব ময়দা দেখতে যত ধবধবে সাদা, বিপদ সেখানেই। খুব সাদা করার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্লোরিন। যা আপনার রক্তে দ্রুত শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে। আর এই শর্করা ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

. চিনি: অত্যধিক চিনি কিন্তু শরীরের পক্ষে ভয়ানক ক্ষতিকারক। খুব চিনি খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। যা প্রকান্তরে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ায়।

. সুইটনার: এখন বিভিন্ন প্রসেসড ফুডে আপনি পাবেন কৃত্রিম সুইটনার অ্যাসপারটেম। যা ভীষণভাবেই কার্সিনোজেনিক। পরিপাকের সময় অ্যাসপারটেম টক্সিক উপাদান DKP-তে ভেঙে যায়, যার ফলে ব্রেন টিউমারও হতে পারে।

১০. অ্যালকোহল: পরিমিত সীমার মধ্যে মদ্যপান সেভাবে আপনার শরীরের কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু, আপনি যদি রোজ অত্যধিক হারে মদ্যপান করেন, তবে আপনার কোলন, রেকটাম, মুখ, খাদ্যনালীতে ক্যানসার এমনকি ব্রেস্ট ক্যানসারও অবশ্যম্ভাবী।

১১. সোডা:  হার্ড ড্রিংকস আপনার না পছন্দ, তাই পার্টিতে সোডা ওয়াটারই আপনার প্রথম পছন্দ। ভাববেন না, এতে আপনার নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনো কারণ আছে। কারণ, সোডা ওয়াটারে থাকে সুগার। কিছু কিছু ক্ষেত্রে থাকে সুইটনারও। আর ক্যান্সারে এদের ভূমিকা, আমরা আগেই আপনাদের জানিয়েছি। এছাড়া কৃত্রিম রং ও ফ্লেভারও অনেকসময় দেয়া হয় সোডা ওয়াটারে।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ