রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভাষা শহীদদের স্মরণে নাটক ‘প্রতিপক্ষ’ মঞ্চায়িত হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মুক্ত মঞ্চে নাটকটি মঞ্চায়িত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী নাট্য সংগঠন ‘অনুশীলন’ নাট্যদলের ৫২ তম প্রযোজনা এটি। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় আছেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও রাবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মলয় ভৌমিক।
অধ্যাপক মলয় ভৌমিক বলেন, ‘আমরা নাটকটিতে রাজনৈতিক দুটি পক্ষের স্বার্থের দ্বন্দের কারণে সাধারন মানুষকে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তা তুলে ধরেছি। নাটকটিতে প্রতীকি চরিত্রে দেখা যাবে একটি ট্রেন তার গন্তব্যস্থলে যাচ্ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া হরতালের কারণে সেটিকে এক অনির্দিষ্ট স্থানে থামতে বাধ্য করা হয়। তারপর তারা ট্রেনটিকে না চালাতে চালককে হুমকি দেয়। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।’
নাটকের একটি দৃশ্যে দেখা যাবে, একটি শিশু ট্রেন থেকে নেমে গেলে রাজনৈতিক দুই দলের গোলাগুলির মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়। তখন তারা শিশুটিকে নিহত দাবি করে হরতাল পালন করে। একটা সময় যখন সেই হরতালকারীরা ক্ষমতায় আসে তখন তাদের প্রতিপক্ষ যখন জানতে পারে যে শিশুটিকে নিহত দাবি করে হরতাল পালিত হয়েছিল সে জীবিত আছে, তখন তারা শিশুটিকে বাইরে টেনে নিয়ে এসে তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চায়। এভাবে দু’পক্ষের স্বার্থের দ্বন্দে এক সময় শিশুটি মারা যায়।
নাটকটির নামকরণের ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক মলয় ভৌমিক বলেন, নাটকটির নাম ‘প্রতিপক্ষ’ এ কারণেই রাখা হয়েছে যে এ নাটকটিতে দুটি রাজনৈতিক পক্ষ অর্থাৎ এক পক্ষের সাথে অন্য পক্ষের দ্বন্দের কারনে সাধারন মানুষের যে দুর্ভোগ তা দেখানো হয়েছে।
নাটকটিতে কি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে জানতে চাইলে অধ্যাপক মলয় ভৌমিক বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধসহ সকল আন্দোলনই ছিল মানুষের মুক্তির জন্য কিন্তু মানুষের মুক্তি কই? এদের হাত থেকে মানুষের মুক্তি নেই, এ পক্ষ ও পক্ষের স্বার্থের নাচানাচিতে সাধারন মানুষ জীবন দেয়। এ কথাটাই নাটকটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারী ঢাকার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘প্রতিপক্ষ’ নাটকটি দুইবার মঞ্চায়িত করা হয়েছিল।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ