জার্মানিতে নির্বাসিত দুই বাংলাদেশি অ্যাক্টিভিস্ট শাম্মী হক ও অনন্য আজাদের ভালোবাসা দিবসের চুমুর ইভেন্টে সমর্থন জানিয়েছেন আরেক নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
বুধবার নিজের ফেসবুকের ভেরিফাইড পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন তিনি।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘তিরিশ বছর আগে আমি আমার প্রেমিককে রাস্তায়, রেস্তোরাঁয় চুমু খেয়েছিলাম বাংলাদেশের মতো দেশে। ইউরোপের দেশগুলোয় হাটে মাঠে ঘাটে ইউরোপিয়ান প্রেমিককে তো চুমু খেয়েছিই, ঘোর পূর্ণিমা-রাতে সেক্স করেছি নির্জন সমুদ্রপাড়ে, করেছি চাঁদের আলোয় স্নান করতে থাকা নিবিড় অরণ্যে। সেক্স সবসময়ই খুব সুন্দর। নারী-পুরুষের, নারী-নারীর, পুরুষ-পুরুষের, ট্রান্সজেন্ডারের, কুইয়ারের। অ্যানিমেলদের কাছে, বিশেষ করে বনোবোদের কাছ থেকে শেখা উচিত সেক্স নিয়ে কী করে উৎসব করতে হয়। বনোবোরা সবচেয়ে শান্তিপ্রিয় প্রাণী। কারণ তারা কলহ কোন্দল মিটিয়ে নেয় সেক্স করেই। বনোবোদের সঙ্গে মানুষের ডিএনএ'র সবচেয়ে বেশি মিল। আমি বুঝিনা বাইরে জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে পৃথিবী, আর মানুষ কি না চারদেয়ালের ভেতর দরজায় খিল এঁটে সঙ্গম করে। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষ অনেক দূরে সরে গেছে, আর কত দূরে সরবে! মানুষগুলো দিন দিন দুপেয়ে রবোট হয়ে উঠছে। আসলে সঙ্গমগুলোও আর সঙ্গম নেই। সব যেন ধর্ষণ হয়ে উঠছে। ভালোবাসাও হয়ে উঠছে ঈর্ষা।'
আরেক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'কত প্রিমিটিভ সমাজ হলে ছেলে মেয়েকে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার জন্য সংগ্রাম করতে হয়।এখন সময় তো প্রকাশ্যে সেক্স করার।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে একটি ফেসবুক ইভেন্টে ভালোবাসা দিবসে ঢাকায় প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার জন্য প্রেমিক যুগলদের প্রতি আহ্বান জানান শাম্মী হক ও অনন্য আজাদ। এ ইভেন্টের নাম তারা দিয়েছেন ‘ভালোবাসা দিবসে পুলিশি পাহারায় প্রকাশ্যে চুমু খাব।’ এই আহ্বানের পর থেকেই স্যোশাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ