আন্তর্জাতিক বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানে ধারাবাহিকভাবে রপ্তানি বাড়ছে বাংলাদেশের। ভালো করছে ভারত-শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশীরাও। সেই তুলনায় প্রায় প্রতি বছরই জাপানের বাজার হারাচ্ছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
ট্রেডিং ইকোনমিকসের হিসাবে, টানা চার বছর জাপানে ১০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। ভারত করেছে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি। কিন্তু, পাকিস্তান ২০১৮ সালের পর আর ২০ কোটি ডলারের সীমাও পার করতে পারেনি। এমনকি তুলনামূলক ছোট অর্থনীতির দেশ শ্রীলঙ্কাও পাকিস্তানের তুলনায় জাপানে বেশি পণ্য রপ্তানি করেছে।
১৯৬টি দেশের অর্থনৈতিক তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, ২০১৮ সালে জাপানে ৪৭৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল ভারত। একই বছরে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৪৩ কোটি ডলারের ও শ্রীলঙ্কার ছিল ২২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। সেই তুলনায় পাকিস্তানের রপ্তানি ছিল সবার চেয়ে কম, মাত্র ২১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের।
২০১৯ সালে ভারত জাপানে পণ্য রপ্তানি করে ৪৮৬ কোটি ডলারের, বাংলাদেশ ১৫০ কোটি ডলারের মাইলফলক পার হয়, শ্রীলঙ্কা পায় ২৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। বিপরীতে, পাকিস্তানের পণ্য রপ্তানি কমে দাঁড়ায় ১৮ কোটি ৬০ লাখ ডলারে।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও ভারত জাপানে ৪০৪ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। ওই বছর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ১৩১ কোটি ডলারের, শ্রীলঙ্কা ২৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। সেসময় পাকিস্তানের পণ্য রপ্তানি আরও কমে দাঁড়ায় মাত্র ১৬ কেটি ৬০ লাখ ডলারে।
২০২১ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ভারত জাপানে ৫২৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। বিপরীতে, পাকিস্তান করেছে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারের। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
দেশের অর্থনীতিবিদদের মতে, পাকিস্তানের হতাশাজনক পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, দেশটির সরকার জাপানের বাজারের দিকে যথাযথ মনোযোগ দেয়নি। তার ওপর, জাপানে পাকিস্তানি দূতাবাসে অনেক বছর ধরেই অর্থনীতি বিষয়ক কর্মকর্তার পদ শূন্য, এখন পর্যন্ত সেখানে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে জাপানের অর্থনৈতিক গুরুত্বের প্রতি পাকিস্তান সরকারের আন্তরিকতার অভাব ফুটে উঠেছে বলে মনে করছেন তারা।
সানবিডি/ এন/আই