দেশের ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেড অনেক দিন পর হারানো সাম্রাজ্য ফিরে পেতে শুরু করেছে। মৌসুমে টানা দুটি টুর্নামেন্টে জিতেছে ট্রফি। সেই ট্রফি জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তা উদযাপনে অনুষ্ঠান স্থলটি বর্তমান-সাবেক খেলোয়াড় এবং সংগঠকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
মঙ্গলবার আনন্দমুখর পরিবেশে তাদের উপস্থিতিতে ক্লাবটির ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ ও পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ বড়সড় কেক কাটেন। এছাড়া পূর্ব ঘোষিত ৭৫ লাখ টাকা বোনাসের ডামি চেকও তুলে দেওয়া হয়।
স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপে ট্রফি জেতার পর এমন উদযাপনের অপেক্ষা ছিল। সেখানে আবাহনীর অন্য খেলার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান আরও রঙিন হয়ে ওঠে। হারুনুর রশীদ, শেখ আশরাফ আলী, জালাল ইউনুস, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, জিএস হাসান তামিমসহ অনেকের পদচারণায় মুখর ছিল অনুষ্ঠান।
শুরুতে আবাহনী ফুটবল দলের সফল ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু এবারের দল গঠনের নেপথ্যের কাহিনী শুনিয়েছেন। সেখানে নানান প্রতিবন্ধকতা ছাপিয়ে দলের সাফল্যের কাহিনী উঠে আসে। রুপু বলেন,‘অনেক পরিশ্রমের পর এই সাফল্য এসেছে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে সবার চেষ্টা ছিল। আশা করছি সামনের দিকে তা ধরে রেখে আরও সাফল্য আসবে।’
মারিও লেমস অনেক দিন ধরেই আবাহনীর কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তবে সাফল্য এসেছে দেরিতে। তাই এই সময়টা বেশ উপভোগ করছেন ৩৫ বছর বয়সী পর্তুগিজ কোচ, ‘আমার কাছে বিশেষ মুহূর্ত। শুরুর দিকে সাফল্য আসেনি। তবে আশাহত হয়নি। সবার সহযোগিতা নিয়ে এবার সাফল্য এসেছে। আমি এখন খুশি। দুই ফাইনালে আবাহনী নিজের পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। এটাই আবাহনী। সামনে আরও ভালো করতে চাই। দেশের বড় ক্লাবের কোচ হয়ে সম্মানিত বোধ করছি।’
দুই টুর্নামেন্টে আবাহনীর অন্যতম জয়ের নায়ক কোস্টারিকার দানিলে কলিনদ্রেস তো বাংলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এভাবে,‘আসসালামালাইকুম। শুভ রাত্রি! (সবাই হেসে ফেললেন)। আমি এখানে আসতে পেরে খুব খুশি। আবাহনীর সবাইকে ধন্যবাদ।’
অধিনায়ক নাবীব নেওয়াজ জীবন লিগ জিততে চাইছেন, ‘শুরুতে স্বাধীনতা কাপ জিতেছি। ধারাবাহিকতায় ফেডারেশন কাপ জিতেছি। সামনে লিগ শুরু হচ্ছে। দোয়া করবেন যেন ট্রেবল জিততে পারি। সর্বোচ্চটা জিতে চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।’
বসুন্ধরা কিংস থেকে এসেও মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদ সাফল্যের অন্যতম অংশীদার। তাই আনন্দটা একটু অন্যরকম। আবাহনী ক্লাব যে একটি পরিবারের মতো সেটাই তার কন্ঠ থেকে বেরিয়ে এলো, ‘আজকে দুই চার জন যারা আমাকে চেনে তা আবাহনী ক্লাবে খেলার কারণে। আবাহনী ক্লাব একটি পরিবারের মতো। অপর ক্লাবের সঙ্গে পার্থক্য আছে। এখানে আমরা সবকিছু খুলে বলতে পারি। যে কারণে মাঠে আমাদের পারফরম্যান্স করতে সুবিধা হয়।’
ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল অগাস্তোর পারফরম্যান্স সবার নজর কেড়েছে। তার দৃষ্টিও লিগ ট্রফির দিকে, ‘আবাহনী ক্লাব একটি পরিবারের মতো। শুরু থেকে তা দেখে আসছি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে দলের জন্য লড়াই করে যাবো। আশা করছি সামনের দিকে আরও ট্রফি জিততে পারবো।’
সানবিডি/ এন/আই