ভারত সরকার দেশটিতে সুনিদির্ষ্ট বৈদেশিক বিনিয়োগের নীতি শিথিল করার কথা বিবেচনা করছে ভারত। চীনের কিছু বিনিয়োগকারী যাতে ভারতে বিনিয়োগ করতে পারে সে জন্য এমন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে এ বিষয়ে জানেন এমন সূত্র জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন ইকোনমিক টাইমস।
এতে আরো বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে অভিন্ন সীসান্ত এমন দেশগুলোতে অবস্থানরত কোম্পানি অথবা এমন সব দেশের কোনো বিনিয়োগকারী যদি ভারতের ভিতরে থাকেন, তাহলে তাদের বিনিয়োগ করার প্রস্তাব বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার যাচাই বাছাই করছে।
কথিত সুবিধাভোগী মালিকানা শতকরা ১০ ভাগেরও কম যেসব ক্ষেত্রে, সেখানে ছাড় দেয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। এর অর্থ হলো বিনিয়োগকারী হতে পারবেন প্রতিবেশী কোনো দেশের। কিন্তু তিনি প্রস্তাবিত বিনিয়োগে শুধু অল্প পরিমাণের শেয়ারের সুবিধা পাবেন।
ওই সূত্র বলেছেন, লাল ফিতার দৌরাত্ম্যে ৬০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব আটকে থাকার ফলে এমন প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। এই প্রস্তাব অনুমোদন হতে পারে আগামী মাসের শুরুর দিকে। চীনের সঙ্গে সীমান্তে রক্তপাতের মধ্যে এমন বিনিয়োগেরও ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার।
এর ফলে চীন এবং হংকংয়ের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রস্তাব অনুমোদন প্রক্রিয়া ধীরগতির হয়ে যায়। এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো উত্তর দেননি।
ওদিকে ভারতের দেয়া বিধিনিষেধের কারণে বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। ফলে তা শিথিল করা হলে ভারতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে মনে করা হয়। ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত কমপক্ষে ১০০ প্রস্তাব এমন জমা পড়ে আছে ভারত সরকারের কাছে। কিন্তু ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়নি। এর মধ্যে এক চতুর্থাংশ বিনিয়োগ প্রস্তাবের প্রতিটি এক কোটি ডলারের ওপরে।
সানবিডি/এনজে