লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা নিজেদের খনি খাতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ক্রমাগতই চেষ্টা বাড়িয়ে চলছে। এর মাধ্যমে নিজেদের ধাতু ও খনিজ দ্রব্য উত্তোলন বাড়াতে চায় দেশটি। মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বিলিয়ন ডলারের ঋণ পুনর্গঠনের জন্য এমন পদক্ষেপ নিয়েছে আর্জেন্টাইন সরকার। খবর মাইনিং ডটকম।
আগামী দশকের মধ্যে খনি খাত থেকে রফতানির মাধ্যমে ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি আয় করতে চায় আর্জেন্টিনা। এ লক্ষ্যে এসব পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়। আর্জেন্টাইন সরকার জানায় বর্তমানে অগ্রগতির পর্যায়ে থাকা ৩৪টি প্রকল্পের দ্বারা ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার সমপরিমাণ বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সম্ভব।
২০২০ ও ২১ সালে আর্জেন্টিনার খনি খাতে মোট ৯৩০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ ঘোষণা করা হয়। খাতটির ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ প্রকল্পে সম্প্রসারণ ও নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সরকারি তথ্যমতে এমনটা জানা যায়। কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশটির কপার খাতে উন্নয়নের জন্য ২ হাজার ২২০ কোটি ডলার ও লিথিয়াম ডিপোজিটের জন্য ৭৩০ কোটি ডলার প্রয়োজন। স্বর্ণ খাতের জন্য ১৬৫ কোটি ডলার ও রৌপ্যের জন্য ১১১ কোটি ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
গত বছর কানাডার লনডিন মাইনিং কোম্পানি অধিগ্রহণকৃত আর্জেন্টিনার সান জোয়ান প্রদেশে কপার, স্বর্ণ ও রৌপ্য খনিতে উত্তোলন কার্যক্রমে ৪২০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়। এ বিনিয়োগের ফলে আড়াই হাজার কর্মসংস্থান ও বার্ষিক ১৭০ কোটি ডলার সমপরিমাণ রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। উল্লিখিত খনিটি ২০২৬ সাল নাগাদ কার্যক্রম শুরু করবে এবং ১৯ বছর ধরে এটি সক্রিয় থাকবে।
সানবিডি/এনজে