চলতি ২০২২ বছরে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) বাজারে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যথাক্রমে শীর্ষ রফতানিকারক ও আমদানিকারকের স্থান দখল করে রাখবে। সম্প্রতি আইএইচএস মার্কিটের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস পাওয়া যায়। গত বছর বিশ্ববাজারে এলএনজি রফতানিকারকের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়া ও দ্বিতীয় স্থান দখল করে রেখেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। দেশ দুটির রফতানীকৃত এলএনজির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৮ কোটি ৩০ লাখ ও ৮ কোটি ১৩ লাখ টন। একই সময়ে তৃতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের রফতানীকৃত এলএনজির পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৩৬ লাখ টন। খবর এনার্জি ক্যাপিটাল অ্যান্ড পাওয়ার ও এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস।
২০২১ সালে আফ্রিকার শীর্ষ এলএনজি রফতানিকারক দেশ ছিল নাইজেরিয়া, আলজেরিয়া ও মিসর। দেশগুলো যথাক্রমে ১ কোটি ৭৯ লাখ, ১ কোটি ২৩ লাখ ও ৬৯ লাখ টন এলএনজি বিশ্ববাজারে রফতানি করে। একই সময়ে তরলীকরণ ক্ষমতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে সরবরাহ শৃঙ্খলে ২ কোটি ৫০ লাখ টন অতিরিক্ত এলএনজি যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির এলএনজি প্লান্টগুলোর গড় উৎপাদন ক্ষমতার সঙ্গে এটি যুক্ত হয়ে এলএনজি উৎপাদন ক্ষমতা ৯৮ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে ২০২১ সালে বিশ্ববাজারে এলএনজির শীর্ষ আমদানিকারকের স্থান দখল করে রেখেছে চীন। গত বছর মোট ৮ কোটি ১০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করে দেশটি। ফলে জাপানের কাছ থেকে শীর্ষ আমদানিকারকের তকমা দখলে নেয় চীন। এ সময়ে দেশটিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহারও রেকর্ড পরিমাণ বাড়ে। ৮ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়ার ফলে চীনে এলএনজির চাহিদার বিশাল আকারের উল্লম্ফন দেখা দেয়।
চলতি বছর চীনে এলএনজির চাহিদা গত বছরের তুলনায় আরো বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ২০২১ সালের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধির হার অনেকটা ধীরগতি লাভ করবে বলে জানান বিশ্লেষকরা। অর্থনৈতিক চাপ ও স্পট এলএনজির ঊর্ধ্বমুখী দামের ফলে এ প্রবৃদ্ধি ধীরগতি অর্জন করবে বলে মনে করছে বাজার বিশ্লেষকরা।
সানবিডি/এনজে