করোনা মহামারিতেও চীনের অর্থনীতির জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে। দেশটিতে গত এক মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। এতে উৎপাদন খাত সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে বলে বিশিষজ্ঞরা মনে করছেন।
এফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গত ডিসেম্বরে চীনে মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রত্যাশিত ভাবে। খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনিয় পণ্যের দাম কমায় ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেতে সহযোগিতা করেছে। মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতিনির্ধারকরা ব্যাংকের সুদের হার কমাতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ব্যাংকের সুদের হার কমাতে পারলে ব্যবসায়িরা সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে দেশটির শিল্প মালিকরা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারন করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যান্য দেশের মতো, চীনেও গত এক বছরে বেশির ভাগ সময় জ্বালানি খরচ মেটাতে অনেক বেশি খরচ করতে হয়েছে। এতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায় প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। এমন অপ্যত্যঅশিত মূল্যস্ফীতি দেশটির অর্থনীতির উপর বেশ চাপ তৈরি করে। এমন অবস্থায় তাদের উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হয়। যা সার্বিক অর্থনীতির উপর এক ধরনের চাপ তৈরি করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় চীনের অধিকাংশ শিল্প কারখানায় চাপে পড়ে যায়। গত একবছরে তাদের উৎপাদন খরচ যে পরিমান বেড়েছে তা ২৬ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে। অর্থাৎ ২৬ বছরের মধ্যে গত বছর তাদের বেশি খরচ বেড়েছে উৎপাদন খাতে। যা চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। চীনাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব রপ্তানি বাণিজ্যে প্রভাব পড়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত মাসে তাদের উৎপাদন খরচ কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। গত বছরের অক্টোবর মাসে তাদের উৎপাদন খরচ কমতে শুরু করে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে গত নভেম্বর মাস থেকে। তবে ডিসেম্বর মাসেও তাদের উৎপাদন খরচ কমেছে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি।
চীনের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) খুচরা মূল্যস্ফীতি পরিমাপক একটি প্রতিষ্ঠন। এই প্রতিষ্ঠনটি দেখিয়েছে গত মাসে দেশটিতে খুচরা মূল্যস্ফীতি হয়েছে মাত্র ১.৫ শতাংশ। যা নভেম্বর মাসে ছিল ২.৩ শতাংশ।
এসএ/এএ