যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার আলেপ্পো গভর্নরেটের গ্রামাঞ্চলে আল-আমাল খামার। সেখানে প্রতি সপ্তাহে ৩০০ কেজি ঝিনুক মাশরুম উৎপন্ন হয়। প্রতি কেজি মাশরুম বিক্রি হয় ১.৩৫ ডলারে। কম দামি হওয়ার কারণে ক্রেতারা একে মাংসের বিকল্প হিসেবে ভাবা শুরু করেছেন।
এ খামারের অধিকাংশ কর্মী মূলত এসেছেন দেশটির পূর্ব ঘৌটা থেকে। এ অঞ্চলে সরকারি বাহিনী অবরোধ দেওয়ার পর থেকে এখানকার মানুষ কীভাবে মাশরুম চাষ করতে হয় তা শিখেছিলেন।
সে অঞ্চল থেকে সিরিয়ার উত্তরে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর অনেক কর্মী মাশরুম নিয়ে লাভজনক প্রকল্প তৈরি করতে নিজেদের পূর্বের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করেন। যা তরুণদের জন্য কাজের সুযোগও তৈরি করেছে।
২০১৩ সালে পূর্ব ঘৌটায় নাওয়াত সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক স্টাডিজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এ প্রতিষ্ঠান সেখানকার মানুষদের কীভাবে মাশরুম চাষ করতে হয় তা শেখায়।
মাশরুম শুধুমাত্র একটি খাদ্য নয়, ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে এবং আসবাবপত্রে কাঠের বিকল্প হিসেবে এর ব্যবহার করা যেতে পারে।
খামারে মাশরুম চাষে সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে বাস্তুচ্যুত বহু সিরিয়ান স্বপ্ন দেখছেন নতুন করে জীবন শুরু করার।
২০১১ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ায় সংঘাত লেগে আছে। বিশ্বের পরাশক্তিগুলো নিজেদের শক্তি পরীক্ষায় নেমেছে সেখানে। ফলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অগুনতি বেসামরিক নাগরিক।
সানবিডি/এনজে