এশিয়ার পুঁজিবাজারে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় এশিয়ার পুঁজিবাজারে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২১ সালে চীনের প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে ৮.১ শতাংশ। এতে এশিয়ার পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সিটিভি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার শেয়ার মার্কেটগুলোর মধ্যে টোকিও, সাংহাই এবং সিডনিতে অধিকাংশ শেয়ারের সাথে সূচকও ছিল উর্ধ্বগতি। এদিকে হংকং এবং সিউলে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম যেমন হ্রাস পেয়েছে তেমনি কমেছে সূচকের তেজি ভাব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২১ সালে চীনের অর্থনীতি যে পরিমান দুর্বল হয়েছে তাতে দেশটির উচিত হবে ব্যাংকের সুদের হার কমিয়ে বা পাবলিক ওয়ার্কস খরচের মাধ্যমে অর্থনীতিতে অর্থ ইনজেক্ট করে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হস্তক্ষেপ করা।
চীনের অর্থনীতি বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির অন্যতম। দেশটির মন্দা অর্থনীতি এই অঞ্চলের পুরো অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
করোনভাইরাসের কারনে আরোপিত লকডাউন এবং অন্যান্য সতর্কতামুলক ব্যবস্থার কারনে দেশটিতে উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় এশিয়ার দেশগুলোতে কাঁচামালের অভাব দেখা দিতে পারে যাতে শিপিং এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ভেংগে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায় সাংহাই কম্পোজিট সূচক ০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩,৫৩২.২৪ এ দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে হংকংয়ের হ্যাং সেং ০.৬ শতাংশ কমে ২৪,২২০.৬১ এ পৌঁছেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি ১.১ শতাংশ কমে ২,৮৮৯.৯৮ এসে দাঁড়িয়েছে। উত্তর কোরিয়া এই মাসে তার চতুর্থ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা করার পর দেশটির পুঁজিবাজারের উপর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
টোকিওর শেয়ার বাজারে ইনডেক্স ০.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৮,৩১৮.৫৪-এ উন্নীত হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে গত নভেম্বর মাসে যন্ত্রপাতি রপ্তানির আদেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারনে দেশটিতে বিনিয়োগ এবং উৎপাদন কার্যক্রম অনেকটা স্থবির হড়ে পড়ছিল। যা এখন উন্নত হতে শুরু করেছে। করোনার প্রভাব কমতে শুরু করায় এখানে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে অর্ডার বেড়েছে ১৭০ শতাংশ।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ–শেয়ারবাজারের খবরা-খবর
এসএ/এএ