আসন্ন বোরো মৌসুমের জন্য ধানের আরও ১০টি জাতের নিবন্ধন ও ছাড়পত্র দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড।
এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ২টি ইনব্রিড, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত ১টি ইনব্রিড, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্র্যাক উদ্ভাবিত ১টি ইনব্রিড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ৬টি হাইব্রিড জাতের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি সচিব ও জাতীয় বীজ বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৬তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এসময় কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘হাইব্রিডের ফলন বেশি। স্বল্প জমি থেকে বেশি উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এখন হাইব্রিডের জাত উদ্ভাবন ও আবাদ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রায় ২১৮টি জাতের নিবন্ধন হয়েছে। এখন থেকে আরও মানসম্পন্ন ও দীর্ঘসময় ধরে কৃষককে লাভবান করবে, এমন জাত নিবন্ধনে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
ব্রি উদ্ভাবিত ছাড়কৃত ব্রি-ধান ১০১ ব্যাকটেরিয়াজনিত পোড়া রোগ প্রতিরোধী ও ব্রি-ধান ১০২ জিংকসমৃদ্ধ। ট্রায়ালে ব্রি-ধান ১০১ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক ৭২ মেট্রিক টন, আর ব্রি-ধান ১০২ এর ৮ দশমিক ১১ মেট্রিক টন। ব্রি-ধান ১০২ ধানে জিংকের পরিমাণ প্রতি কেজিতে ২৫ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম।
বিনা উদ্ভাবিত বিনা ধান-২৫ ট্রায়ালে গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক ৬৪ মেট্রিক টন পাওয়া গেছে। এটির চাল অতি লম্বা ও সরু, ভাত সাদা, ঝরঝরে ও সুস্বাদু। জীবনকাল ১৪৫ দিন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্র্যাক উদ্ভাবিত ব্র্যাক ধান-২ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক ৩৬ মেট্রিক টন। দানা চিকন, সুগন্ধযুক্ত ও আগাম জাত। জীবনকাল ১৩৯ দিন। এছাড়া বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ৬টি হাইব্রিড ধানের ফলাফল পুনরায় পর্যালোচনা করে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
এই সভায় মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (বীজ) আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলামসহ বীজ বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সানবিডি/এনজে