বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা। এই বন্দরকে ঘিরে একপাড়ে গড়ে উঠেছে স্থানীয়দের বহুমুখী ব্যবসা। এর অন্য পাড়ে-বিদেশিদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। এর মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ব্যস্ততম মোংলা নদী। এই নদীর ওপর একটি সেতু দীর্ঘদিনের দাবি স্থানীয়দের। সেই দাবি পূরণ না হওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। তবে আশার কথা হচ্ছে, মোংলা নদীর ওপর সেতু হচ্ছে। ইতিমধ্যে নদীর জরিপ কাজও শুরু হয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে এই জরিপ চালানো হচ্ছে। আর এই জরিপের উপর নির্ভর করে মোংলা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হবে বলে জানান, সেতু বিভাগের সার্ভেয়ার কো-অর্ডিনেটর মো. হাফিজুর রহমান অন্তর। তিনি বলেন, নিখুঁত তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ে সবার সঙ্গে কথা বলে পজিটিভ প্রতিবেদন তৈরি করছেন তারা। সেতু নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। গত ৪ঠা জানুয়ারি থেকে সেতু কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা মাঠপর্যায়ের পর্যবেক্ষণসহ নানারকম তথ্য যাচাই করে প্রতিবেদন তৈরি করছেন।
এদিকে সেতুটি নির্মিত হলে আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে বলে জানান পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, ব্যবসায়ী ওহিদুজ্জামান ও আজাদ মৃধা। তারা বলেন, সেতুটি হলে দুইপারের মানুষের মধ্যে বন্ধন তৈরি হবে। যাতায়াত, পণ্য পরিবহন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে এ সেতু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবে বলেও জানান তারা। সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ডিজাইন) মো. লিয়াকত আলী বলেন, “মোংলা নদীতে সেতু নির্মাণ সেতু কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্ল্যানে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এখন প্রাথমিক জরিপ চলছে। জরিপের প্রতিবেদন হাতে আসার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সানবিডি/এনজে