বিশ্ববাজারে গত কয়েকদিন ধরে জ্বালানি তেলের দাম নিচের দিকে রয়েছে। অপরিশোধিত তেলের দাম সর্বনিম্ন ২৬ ডলারে নেমেছে। সে হিসেবে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের দাম হয় বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ টাকার কাছাকাছি।
অথচ বাংলাদেশের বাজারে প্রতিলিটার তেল সেই তিন চার গুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতো দিন সরকার বা বিপিসির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। এই অবস্থায় শিল্পকারখানা, যানবাহানের মালিকদের দাবি আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে দেশের বাজারে তেলের দামের সমন্বয় করা হোক।
জানা গেছে, সেই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিপিসির তরফ থেকে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বিপিসির চেয়ারম্যান এ এম বদরুদ্দোজা জানান, প্রস্তাবে প্রতি লিটার অকটেন ও পেট্রলে ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং ডিজেলে পাঁচ টাকা দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রস্তাব পর্যালোচনা শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ করবে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
তেলের দাম এতো দিন সমন্বয় করা হয়নি কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বিপিসি চেয়ারম্যান জানান, গত অর্থবছরে তেল বিক্রি থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা লাভ হয়েছে। আর এর মধ্যে থেকে তিন হাজার কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করেছে সংস্থাটি।
উল্লেখ বর্তমানে দেশের বাজারে, গ্যাসলিনের দাম প্রতিলিটার ১ ডলার ১৭ সেন্ট বা বাংলাদেশি টাকায় ৯৩ টাকা ৬০ পয়সা, বাংলাদেশের বাজারে অকটেন ১ ডলার ২৬ সেন্ট বা ৯৯ টাকা, পেট্রল ১ ডলার ২৩ সেন্ট বা ৯৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাংলাদেশে ডিজেলের দাম প্রতিলিটার ৬৭ টাকা ২০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে, বিমানে ব্যবহারের জ্বালানি জেট ফুয়েলের দাম প্রতিলিটার গড়ে ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সানবিডি/ঢাকা/আহো