মাত্র তিন মাসের মধ্যেই গ্রাহকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ই-কমার্স সাইট। অনেক গ্রাহক ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে অন-লাইন মাধ্যমকেই বেছে নিচ্ছেন।
নগদ অর্থ বহনের পরিবর্তে সহজেই ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা যায়। পাশাপাশি রয়েছে ডিসকাউন্ট এবং শর্তসাপেক্ষে ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা। ফলে, গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের ই- কমার্স।
জানা গেছে, ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বাজারকেও শীঘ্রই যুক্ত করা হবে ই-কমার্স প্রক্রিয়াতে। এছাড়াও, পণ্য বিক্রয়ের পাশাপাশি বিক্রয়োত্তর সেবাকেও খুব শীঘ্রই অন-লাইন মাধ্যমে যুক্ত করতে যাচ্ছে ওয়ালটন। মূলত, দেশ-বিদেশে ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, ভবিষ্যতে অন লাইন বাজারের উজ্জ্বল সম্ভাবনা এবং দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতেই অন-লাইন প্রক্রিয়াকে অধিক দিচ্ছে ওয়ালটন।
ওয়ালটনের সূত্রমতে, গ্রাহকরা ঘরে বসে সহজেই যাতে ওয়ালটন পণ্য ক্রয় করতে পারেন সে উদ্দেশ্যে গত বছরের অক্টোবর মাসে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় ই-কমার্স সাইট। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে ই-কমার্স সাইটটির উদ্বোধন করেন। নভেম্বর মাস থেকে এই সুবিধাটি গ্রাহকদের জন্য পুরোপুরি চালু করা হয় । এরপর থেকেই প্রতিমাসে উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ছে ওয়ালটন পণ্যের অন-লাইন সেলসের পরিমাণ।
ওয়ালটন আইটি বিভাগের প্রধান জৈষ্ঠ্য অতিরিক্ত পরিচালক আরিফুল আম্বিয়া বলেন, গ্রাহকদের দোরগোঁড়ায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উচ্চ মানসম্পন্ন পণ্য সহজেই পৌঁছে দিতে ওয়ালটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গ্রাহকদের কাছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য আরো সহজলভ্য করার জন্যই চালু করা হয়েছে ই-কমার্স কার্যক্রম। দেশব্যাপী ওয়ালটনের ২১৬টি প্লাজার মাধ্যমে গ্রাহকরা দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে কিনতে পারবেন ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সকল পণ্য। এছাড়া, প্রবাসী বাংলাদেশীরাও ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয় করে দেশের যেকোনো স্থান থেকে ডেলিভারি নিতে পারছেন।
ইতোমধ্যে, অনেক প্রবাসী ওয়ালটনের ই-কমার্স সাইট ব্যবহার করে অসংখ্য পণ্য ক্রয় করেছেন বলে জানান তিনি। ই-কমার্সের পরিধি আরো বিস্তৃত করতে ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আম্বিয়া বলেন, গ্রাহকদের দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে শীঘ্রই চালু করা হবে অন-লাইন সুবিধা। এটি চালু হলে গ্রাহকরা ঘরে বসেই অন-লাইনের মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ট্র্যাকিং নাম্বারের মাধ্যমে তারা বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য সার্ভিস সেন্টারে পাঠানো পণ্যের সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বাংলাদেশের পাশাপাশি খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক বাজারকেও ওয়ালটনের ই-কমার্স প্রক্রিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। বর্তমানে ভারত, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাসহ ১৯টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটনের পণ্য। এইসব দেশগুলোতে অবস্থিত ওয়ালটন সেলস পয়েন্টের আওতায় গ্রাহকরা ঘরে বসেই অন-লাইনের মাধ্যমে সংশিষ্ট দেশের প্রচলিত মুদ্রায় পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
আইটি বিভাগের সফটওয়্যার প্রকৌশলী শিহান মাহমুদ বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে ই-কমার্স লেনদেনকে জনপ্রিয় করতে মোবাইল ফোন বাদে ওয়ালটনের প্রায় ৪ শতাধিক মডেলের পণ্যে নগদ মূল্যের উপর দেয়া হচ্ছে পাঁচ (৫) শতাংশ ছাড় এবং শর্তসাপেক্ষে ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা। এছাড়াও, সদ্য সমাপ্ত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় চালানো হয় ব্যাপক প্রচারণা। ফলে জানুয়ারি মাসে অন লাইন সেল বেড়েছে ব্যাপকভাবে।
জানা গেছে, গ্রাহকরা যাতে সহজেই ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করতে পারেন সেজন্য ওয়ালটনের ওয়েবসাইটে প্রতিটি পণ্যের পাশে রয়েছে হেল্প অপশন। এখান থেকে কাঙ্খিত গ্রাহকরা সহজেই জেনে নিতে পারবেন অন-লাইনের মাধ্যমে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয়ের প্রক্রিয়া। সেইসঙ্গে গ্রাহকরা সংশিষ্ট এলাকায় অবস্থিত ওয়ালটন প্লাজার বিক্রয় ম্যানেজারকে ফোন দিয়েও পণ্য ও ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন।
সানবিডি/ঢাকা/আহো