ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৭৬ জন ব্যবসায়ীকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে নির্বাচন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের মোট ২২টি খাতের ১৮টি পণ্য এবং সেবা খাত থেকে ২০১৮ সালের জন্য রপ্তানি খাতে ১৩৮ জন এবং ট্রেডে ৩৮ জনসহ মোট ১৭৬ জনকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি-সিআইপি সম্মানে ভূষিত করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সিআইপি মনোনীতরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ির স্টিকার পাবেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন তারা।
এ ছাড়া ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে তাদের আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে।’
দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের অবদান অনেক মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ছাড়া দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের বিকল্প নেই।’
দেশের উন্নয়নে সরকারপ্রধানের অবদানের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। সবগুলোই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই।
মন্ত্রী জানান, ২০২৬ সালের পর উন্নয়নশীল দেশের আনুষ্ঠানিক মর্যদা পাবে বাংলাদেশ। এরপর আমাদের উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হবে। এ জন্য আমাদের প্রস্তুতি দরকার। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য দক্ষতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অল্পসংখ্যক পণ্য নিয়ে বিশ্ব রপ্তানি বাজারে ভালো করা যাবে না। এ জন্য রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশ আছে, যেখানে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের প্রচুর চাহিদা আছে। সেখানে আমাদের রপ্তানি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে আমাদের সামনে সমস্যা অনেক, বাধা অনেক। দক্ষতার সঙ্গে এগুলোকে অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হবে।’
এএ