দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে ১২টি জেলাকে ইতোমধ্যে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। দিনাজপুর এরমধ্যে অন্যতম।
গত এক সপ্তাহে দিনাজপুর জেলায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৪৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৯৮ জনে। জেলায় সক্রিয় রোগী ২৮২ জনের মধ্যে সদরেই রয়েছে ২১৬ জন। শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এরমধ্যে গত এক সপ্তাহে সুস্থ হয়েছেন মাত্র ১০ জন। তবে গত এক সপ্তাহে মৃত্যু না থাকলেও করোনায় এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ২৯১ জন।
আজ শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৪২ জন নতুনভাবে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৮, বোচাগঞ্জে ৪, ফুলবাড়ি ২ ও পার্বতীপুর উপজেলায় ৮ জন রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ২৭৫ জন রয়েছেন হোম আইসোলেশনে আর হাসপাতালে ভর্তি ২৩ জন।
জেলার মোট আক্রান্ত ১৫ হাজার ১৯৮ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৮৪২৪, বিরলে ৯৫৩, বিরামপুর ৬০০, বীরগঞ্জ ৫৫৭, বোঁচাগঞ্জ ৭০১, চিরিরবন্দর ৬০৫, ফুলবাড়ী ৬৯৯, ঘোড়াঘাট ১১৫, হাকিমপুর ৩০৮, কাহারোল ৩৪৭, খানাসামা ৪০৪, নবাবগঞ্জ ৩৩৯ ও পার্বতীপুর উপজেলায় ১১৪৬ জন এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো রোগী সুস্থ হওয়ার খবর না থাকলেও এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৬২৫ জন রয়েছেন বলে জানান সিভিল সার্জন।
দিনাজপুরে সিভিল সার্জন ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. এ এইচ বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না, নিজের ভালো না বুঝলে কিভাবে সম্ভব। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মাস্ক ব্যবহার ছাড়াই বেচাকেনা, হাটাচলা এমনকি জোটবদ্ধ হয়ে আড্ডা দিচ্ছে চায়ের দোকানে, হাট-বাজারে। এছাড়াও লোকজনের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাতে উদাসীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং মাস্ক পরিধানের হার খুবই নগণ্য।
সানবিডি/এনজে