প্রথমে আলাপটা শুরু হয়েছিল ফেসবুকে। প্রথমদিকে স্রেফ মজা করতেই ফ্রেন্ডশীপ করেছিল মেয়েটি। তবে সে থেকেই ধীরে ধীরে প্রেম, কিছুদিন পরে বিয়েও। সবই ঠিক ছিলো কিন্তু অবাক হতে হবে যখন পুরুষটি যদি ২ ফুট ৮ ইঞ্চির আর তার বউয়ের উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট!
এই সমস্ত কিছুরই সম্মুখীন হয়ে ছিলেন সিন স্টিফেনসন আর মিন্ডি নিস। কিন্তু কোন কিছুরই পরোয়া করেননি এই দম্পতি। তাদের উথাল-পাথাল ভালবাসায় কখনই বাধা হয়নি সিনের উচ্চতা। ২ ফুট ৮ ইঞ্চিটা তাদের কাছে একটা পরিসংখ্যান মাত্র।
২০০৯ সালে ফেসবুকে এক মিউচুয়াল বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয়। পরিচয় কিছুদিনের মধ্যেই বদলে যায় প্রণয়ে। ২০১২ সালে বিয়েটা সেরে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু, তারপরেই অদ্ভুত এক সমস্যা তৈরি হয়। প্রতিবেশী, পরিজনরাও বলতে শুরু করেন, সিন নাকি যৌনভাবে অক্ষম। মিন্ডি নাকি সিনের সঙ্গে সুখী নন! জল্পনার ডানা কদিনের মধ্যে পাড়ার গণ্ডি ছাড়িয়ে ঢুকে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সিন-মিন্ডির বেডরুম হয়ে ওঠে ফেসবুক গুলতানির অন্যতম ফেভারিট পাশটাইম।
সব দেখে শুনে বেজায় বিরক্ত হয়ে এবার মুখ খুললেন স্বয়ং মিন্ডি। সেই ফেসবুকেই তাঁর স্বদর্প ঘোষণা ‘‘আমি সিনকে ভালবাসি।আমার দেখা অন্যতম সেক্সি পুরুষ সিন। আমাদের দাম্পত্য জীবন ভীষণ সুখের, যৌনতায় ভরপুর।’’
সিনের বয়স যখন ১৮, তখন ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশের ২০০ টির মত হাড় ভেঙে যায়। সিন একজন প্রেরণাদায়ক বক্তাও বটে। নিজেই বলেন ‘‘আমি একজন ছোট মানুষ, কিন্তু বাঁচি বড় করে।’’
সব ব্যঙ্গ তুড়িতে উড়িয়ে বিয়ের চার বছর হইহই করে পার করে এলেন এই মার্কিন দম্পতি। এই মধুমাসে, ভালবাসার সপ্তাহে সিন স্টিফেনসন আর মিন্ডি নিসকে আমাদের শুভেচ্ছা, ভাল থাকুন, ভালবাসায় থাকুন।
সানবিডি/ঢাকা/আহো