শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদের পদত্যাগ দাবিকে ‘দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলার একটি চক্রান্তের অংশ’ বলে মনে করছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ।
সেই সঙ্গে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিকে নীতিবহির্ভূত বলেও দাবি করেছে সংগঠনটি।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ এ অবস্থান জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শাবিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ২০ জানুয়ারি পরিষদের এক জরুরি সভা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি ড. হাবিবুর রহমান। সভায় ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
‘শাবির বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের একজন প্রাধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে প্রশাসনের অনভিপ্রেত ঘটনার প্রেক্ষাপটে ছাত্র-ছাত্রী, পুলিশ ও শিক্ষকদের যারা আহত হয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমরা সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।
‘এরই মধ্যে ওই হলে একজন নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হলেও উপাচার্যসহ তার পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখার মাধ্যমে বর্তমানে যে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে তা আমাদের কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নীতিবহির্ভূতভাবে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ক্রমশ যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে তা সমগ্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে তোলার মাধ্যমে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলার একটি চক্রান্তের অংশ বলেই প্রতিভাত হচ্ছে।
‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যকার সম্পর্কটি শ্রদ্ধা, স্নেহের ও পারস্পরিক সম্মানবোধের। সেটি যেন অক্ষুণ্ন থাকে তা আমাদের অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে এবং যে কোনো সমস্যা, তা যত বড়ই হোক না কেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অবশ্যই সমাধান করা সম্ভব বলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ মনে করে।’
বিবৃতিতে সই করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য ড. মো. হাবিবুর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের কোষাধ্যক্ষ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীদুর রহমান ভুইয়া।
এএ