পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে চলছে তুঘলকি কারবার। এখানে কোন নিয়ম নীতির অনুসরন হচ্ছে না। যেমন ইচ্ছে তেমন চলছে এই কোম্পানিটি।
বিভিন্ন সময় কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়। এর অধিকাংশ হয়েছে ২০১৮ সালে থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুন্সে’র বোর্ডের নজরে আসে এসব অনিয়মের ঘটনা।
এসব অনিয়মের প্রেক্ষিতে ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ বোর্ড মিটিংয়ে উক্ত সময়ে পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ২৩ জন কর্মকর্তাকে পদোবনতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পদোবনতি প্রাপ্তদের মধ্যে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. মো. মোশাররফ হোসাইনের বোন মোছাঃ ফেরদৌস আকতারও রয়েছেন। তাকে জেভিপি থেকে এসইও করা হয়েছে। তিনি ২০১৯ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট বা (জেভিপি) হিসেবে পদোন্নতি পান। কোম্পানির আন্ডার রাইটিং অ্যান্ড রিইন্স্যুরেন্স বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৭ সালের ২ জুলাই পদ্মা লাইফ থেকে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার (এসইও) পদে যোগদান করেন।
অন্যান্যের মধ্যে মাজেদুল ইসলামকে এএমডি থেকে পদাবনতি করে এসইভিপি করা হয়েছে। কামাল আহমেদ হাওলাদারকে এসইভিপি থেকে জেইভিপি, শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাককে এসইভিপি থেকে এসভিপি, মোঃ ফিরোজ শাহ আলমকে ইভিপি থেকে এসইভপি, মোঃ নজরুল ইসলামকে ইভিপি থেকে এসভিপি, মাহমুদুল হাসানকে ইভিপি থেকে এফএভিপি, মোঃ আমিরুজ্জামানকে জেইভিপি থেকে এসভিপি, মোঃ শাহ আলমকে এসভিপি থেকে জেএসভিপি, মোঃ শহিদুল আলমকে এসভিবি থেকে ভিপি করা হয়েছে।
এদিকে মামুনুর রশিদকে এসভিপি থেকে ভিপি, শাহাদত হোসেন হাজারিকে এসভিপি থেকে জেএসভিপি, মাহমুদ হাসানকে জেএসভিপি থেকে জেভিপি, মোঃ ইলিয়াসুর রহমানকে জেভিপি থেকে এভিপি, মোঃ নূরে আলম আল কায়সারকে ভিপি থেকে জেভিপি, মোঃ আজহারুল ইসলামকে ভিপি থেকে এভিপি করা হয়েছে।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে পদোবনতি প্রাপ্তদের মধ্যে ওসমান গণি এভিপি থেকে এসও, ফারহানা ইয়াসমিনকে এভিপি থেকে এসও, অনামিকা ইসলামকে এভিপি থেকে অফিসার, মোঃ মাসুম হোসাইনকে এফএভিপি থেকে এসইও, মোঃ নূরে আলম মিয়াজিকে এফএভিপি থেকে এসইও, এবং মোঃ মকবুল এলাহীকে এফএভিপি থেকে ইও করা হয়েছে।
এএ