মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক জোরপূর্বক বাস্ত্তচ্যুত হয়ে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে তারা বসবাস করছেন।এদের মধ্যে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত ২১ ও ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকৃত প্রায় ৪০,০০০ রোহিঙ্গাদের জীবনযাপনের উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর। এই প্রতিবেদনে নিম্নের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
ক। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত ২১ ও ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। এ ক্যাম্প দুটো যথাক্রমে চাকমারকুল এবং উনচিপ্রাং নামে পরিচিত।
খ। উল্লেখিত ক্যাম্প দুটি একদিকে যেমন পরিবেশগত দিক থেকে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বিধায় অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। অপরদিকে বিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় ক্যাম্প ২টি নিরাপত্তার দিক থেকেও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ। উল্লেখিত ক্যাম্প দুইটি নিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক গত ১৩ জানুয়ারি একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গা এবং ঝুঁকির মধ্যে অবস্থান করছে আরও প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা। ইতিপূর্বে ভূমি ধ্বংস এবং হঠাৎ বন্যায় এই ক্যাম্পগুলোতে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় ক্যাম্প দুটি বিভিন্ন সন্ত্রাসী দল এবং ডাকাতদলের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
ঘ। এছাড়াও দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, রোহিঙ্গাদের অপরাধ দমনসহ সব রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে "আমরা কক্সবাজারবাসী" সহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কক্সবাজারের উখিয়ায় বিশাল মানববন্ধন ও জনসমাবেশ করেছে। তাদের অভিযোগ , সারাদেশে অস্ত্র ও মাদক পাচারসহ নানা ধরনের জঘন্য অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও স্থানীয়দের হত্যা, ঘরবাড়িতে হামলাসহ নানা অপরাধমূলক কাজ করে আসছে রোহিঙ্গারা।
সানবিডি/এনজে