পদ্মা ও যমুনা নদীতে তীব্র নাব্য সংকটের কারণে চট্টগ্রাম খুলনা ও মোংলা থেকে ছেড়ে আসা সার, জ্বালানি তেল ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যবোঝাই কার্গো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। কার্গোগুলো আপাতত মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার অন্বয়পুর এলাকায় যমুনায় নোঙর করে রাখা হয়েছে। পরে ওইসব কার্গোতে থাকা পণ্য অর্ধেক কমিয়ে নগরবাড়ি, পাবনা ও বাঘাবাড়িতে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জাহাজচালক ও ব্যবসায়ীদের।
এ ব্যাপারে জানা গেছে, সরকারিভাবে চট্টগাম, খুলনা ও মোংলা থেকে কার্গো জাহাজের মাধ্যমে বাঘাবাড়ি, নগরবাড়ি ও পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য সার, সিমেন্ট, চিনি ও জ্বালানি তেল আসছে। কিন্তু নাব্য সংকটে অন্বয়পুর এলাকায় নোঙর করা হচ্ছে। সপ্তাহখানেক অপেক্ষার পর সকাল-সন্ধ্যা কাজ করে অর্ধেক পণ্য আনলোড করে গন্তব্যে যাচ্ছে।
যমুনার অন্বয়পুরে নোঙর করা মা-বাবার দোয়া নামের কার্গো জাহাজের চালক ইয়ামিন শেখ জানান, চট্টগ্রাম থেকে সার নিয়ে শিবালয়ে পৌঁছাতে পাঁচ দিন লেগেছে। নাব্য সংকট থাকায় পণ্যবাহী জাহাজ ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে। তাই আরিচা ঘাটের কাছে নোঙর করছি। এখানেও ৫-৬ দিন অপেক্ষা করছি। আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।
জানা গেছে, নদীতে জাহাজ চলাচলের জ্যন্য যে পরিমাণ পানি থাকা প্রয়োজন, তা না থাকায় আরিচা-পাটুরিয়ার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৭০টির মতো জাহাজ নোঙর করা আছে। প্রতিটি জাহাজে ১২শ’ থেকে ১৪শ’ টন পণ্য থাকে। কিন্তু নদীতে নাব্য কম থাকায় ওইসব জাহাজ গন্তব্যে যেতে পারে না।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক শাহ আলম জানান, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। ড্রেজিং ইউনিট নদীর নাব্যতা রক্ষায় পরিকল্পনামাফিক কাজ অব্যাহত রেখেছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা কার্যালয়ের ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ জানান, নদীতে ১০ পুল গভীরতার জাহাজগুলো চলতে পারে, কিন্তু পণ্যবাহী কার্গো জাহাজের গভীরতা ১৪-১৫ ফুট হবে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত, শুস্ক মৌসুমে ৮ ফিট গভীরতার জাহাজগুলো চলতে পারবে। কিন্তু কার্গো মালিকরা বেশি মুনাফার আশায় সরকারের নির্ধারিত সীমারেখার বেশি পণ্য বহন করছে। এতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
সানবিডি/এনজে