দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী। এরই মাঝে উন্মুক্ত হয়েছে ইরানের তেলের বাজার। এশীয় ক্রেতাদের জন্য তেলের দামে ব্যাপক ছাড়ও ঘোষণা করেছে ইরান। এর প্রভাব পড়েছে অন্যান্য দেশের তেলের বাজারে। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামে ব্যাপক পতন হয়েছে।
এবার বিশ্ববাজারে ব্যারেলপ্রতি ২৭ ডলারের কমে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল; যা প্রায় ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দাম। এর আগে ২০০৩ সালের মে মাসে ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম ছিল ২৬ ডলারেরও নিচে। এরপর খুব কম সময়ের মধ্যে ঊর্ধ্বমুখী হয় তেলের বাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্ববাজারে বুধবার দিনের লেনদেনে তেলের দামে বেশ ওঠানামা লক্ষ্য করা গেলেও বৃহস্পতিবার তা ব্যারেলপ্রতি ২৭ ডলারের নিচে নেমে যায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমার কোনো লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে না। বরং এই পণ্যের যোগান ও সরবরাহ বেড়ে যাচ্ছে। এতেই মূলত তেলের দাম আরও কমেছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দিনের লেনদেনের এক পর্যায়ে অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম, যা আগামী মার্চে সরবরাহ করা হবে, ব্যারেলপ্রতি ২৬ ডলার ৩২ সেন্টে নেমে আসে। পরে অবশ্য তা সামান্য বেড়ে ২৬ ডলার ৩৮ সেন্টে উঠলেও এই দাম বুধবারের তুলনায় ১ ডলার ৭ সেন্ট কম।
অন্যদিকে ইউরোপের বাজারেও বৃহস্পতিবার কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম, যদিও তা এখনও ৩০ ডলারের ওপরেই আছে। এদিন ইউরোপের বাজারে ব্রেন্ট নর্থ সি ক্রুডের দাম, যা আগামী এপ্রিল সরবরাহ করা হবে, ব্যারেলপ্রতি আগের দিনের চেয়ে ৬৭ সেন্ট কমে ৩০ ডলার ১৭ সেন্টে নেমে আসে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) মঙ্গলবার বিপুল পরিমাণ উদ্বৃত্ত ও বিশ্ব বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তেলের দাম আরও কমতে পারে বলে সতর্ক করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আরও নতুন মজুদের তথ্য এবং তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর এ সংগঠন ওপেকের সরবরাহ বৃদ্ধির খবরে আবারও বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী হয়ে পড়ে।
সানবিডি/ঢাকা/আহো