পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আহমেদের (৫৬) মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে পল্টন থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় তার স্ত্রী, শাশুড়ি, শ্যালক-শ্যালিকাসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, হাসান আহমেদ পল্টন বক্স কালভার্ট রোড রূপায়ন তাজ ভবনের ১৪তলায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পরে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক (বারডেম) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার দুপুরে হাসান আহমেদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি সালাহ উদ্দিন মিয়া বলেন, ‘হাসান আহমেদের ভাই কবীর আহমেদ আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত থানায় হত্যামামলা করার নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
এদিকে, হাসান আহমেদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। অথচ তার (হাসান আহমেদ) ভাই আমার এবং আমার মা-বোনদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’
জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, হাসান আহমেদ পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ৬০ শতাংশের মালিক। আরও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে তিনি কর্মরত ছিলেন।
এদিকে, পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপুল হোসন সুরতহালে রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, তার শরীরে পুরানো ঘা-এর দাগ রয়েছে। এছাড়া কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিক তদন্তে তিনি উল্লেখ করেন, মৃত হাসান আহমেদের পরিবার অভিযোগ করেছেন, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এএ