ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া বেতন বিধি এখনই মানা সম্ভব হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সাথে আলোচনা শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
আজ বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সাথে দেখা করেন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও ব্যাংক উদ্যোক্তা সংগঠন বিএবির নেতারা। আলোচনায় তারা বেতন বিধি, অদক্ষদের চাকরিচ্যুত না করাসহ অন্যান্য সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে আরো বিশদ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সময় চান তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিএবি নেতারা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সময়বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। এ আবেদন বিবেচনা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে কিছু গ্যাপ আছে এমন দাবির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাখ্যা এবং প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সবদিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র।
এ বিষয় এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। তবে, মার্চ মাস থেকেই বিজ্ঞপ্তির সিদ্ধান্ত মানা ব্যাংকের জন্য কঠিন। এতে করে, ব্যাংকারদের আর্থসামাজিক অবস্থা, ব্যাংকের ভারসাম্য সব বিষয় বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করতে চাই। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও আমরা এ আবেদন জানিয়েছি। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য চমৎকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, এখনই এ সিদ্ধান্ত মানা হলে ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ব্যাংকের শিক্ষানবিস কর্মকর্তাদের ২৮ হাজার টাকা ও শেষে ৩৯ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ করে দেয়। পাশাপাশি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন ২৪ হাজার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই ব্যাংকের নির্বাহী ও উদ্যোক্তারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সানবিডি/এনজে