বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।সে প্রক্রিয়ায় আগ্রহীদের জন্য অনলাইনে নিবন্ধনের সুযোগ উন্মুক্ত হচ্ছে আগামী ২৮ জানুয়ারি। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসময়ে কেবল বনায়ন খাতের জন্যই আবেদন নেওয়া হবে। অন্যান্য খাতের জন্য নিবন্ধন শুরু হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে।
দীর্ঘ তিন বছর পর বাংলদেশের জন্য খুলতে যাওয়া এই শ্রমবাজার নিয়ে অবশ্য এখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি প্রস্তুতি নিতে পারেনি। মালয়েশিয়ার সঙ্গে জনশক্তি রফতানি সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী সরকারি ডাটাবেজ থেকে কর্মী নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত সেই ডাটাবেজ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অবশ্য বলছেন, মালয়েশিয়ায় নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও আরও দুই-তিন ধাপ শেষ হয়ে চূড়ান্ত নিয়োগে কিছুটা সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যেই তারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
গত ১৫ জানুয়ারি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে মালয়েশিয়া সরকারের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় বৃক্ষরোপণ খাতে শ্রমিক ঘাটতি কমাতে ৩২ হাজার বিদেশি শ্রমিক আনার জন্য সরকার বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। সে প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ২৮ জানুয়ারি থেকে এই খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগে আবেদন জমা নেওয়া হবে। দেশটিতে যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা ওই সময় থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগকর্তারাও ওয়েবসাইটে কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেখানে তারা বৃক্ষরোপণ খাতসহ অন্যান্য খাতে কর্মী নিয়োগের অপশন পাবেন। তারা আবেদন করবেন www.fwcms.com.my এই ওয়েবসাইটে।
এদিকে, বিদেশি কর্মী নিয়োগে মালিয়েশিয়া প্রক্রিয়া শুরুর পথে থাকলেও কর্মী পাঠানোর প্রস্তুতি এখনো নিতে পারেনি বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, মালয়েশিয়া প্রক্রিয়া শুরুর পথে থাকলেও নিয়োগ চূড়ান্ত করতে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। সেই সময়ের মধ্যে কর্মী পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম বলেন, ২৮ জানুয়ারি অনলাইন আবেদন শুরু হচ্ছে। তখন মালয়েশিয়া তাদের নিয়োগ কোম্পানিগুলোকে অনুমতি দেবে। যেসব কোম্পানি আবেদন করবে, সেই আবেদন যাচাই-বাছাই করে নিয়োগকর্তা তালিকাভুক্ত করবে মালয়েশিয়া সরকার। তারপর কর্মীর চাহিদা জমা হবে। তারপর সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে, ওই কোম্পানির কর্মী রাখার ক্ষমতা আছে কি না এবং কোম্পানিও উপযুক্ত কি না। তারপর তাদের কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে।
সানবিডি/এনজে