নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি উদ্যোক্তাদের জন্য নির্মিত বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে আগামী বছর (২০২৩ সালে) উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত জানান, ভবিষ্যতে জাপানি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের প্রধান গন্তব্য হবে বাংলাদেশ। বিশেষ করে আড়াইহাজারে স্থাপিত অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঘিরে জাপানি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে। এ আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও বিকশিত করার সুযোগ রয়েছে। তবে এজন্য বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও সহজ করার জন্য আহ্বান জানান ইতো নাওকি।
বিশেষ করে পরিচালন মূলধনের জন্য ঋণের যোগান, ঋণপত্র খুলতে বিলম্ব, আয়কর ও ভ্যাটের উচ্চহার, বন্ড লাইসেন্সের নবায়ন জটিলতা, ইপিজেডের কারখানাগুলোর সঙ্গে বাইরের শিল্পের মজুরি পার্থক্যকে জাপানি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত। এসব সমস্যার সমাধান হলে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে মনে করেন ইতো নাওকি।
এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের সঙ্গে এফবিসিসিআই আন্তরিকভাবে কাজ করবে বলে আশ্বাস দেন মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, শতাধিক জাপানি কোম্পানি বহু বছর ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করে আসছে। পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্পেও বাংলাদেশের অন্যতম বড় অংশীদার জাপান। তাছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারের আকারও বেড়েছে। এদেশে জাপানি পণ্যের জনপ্রিয়তাও তুলনামূলক বেশি। তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে যেকোন জাপানি কোম্পানির লাভবান হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের নেওয়া অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন নীতি সহায়তার কথা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি আমিন হেলালী ও মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালক মো. নাসের, প্রীতি চক্রবর্তী ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
এএ