স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘পুলিশ সত্যিকারের জনগণের পুলিশ হয়ে উঠছে। তারা সব সময়ই জনগণের পাশে থাকে। করোনাকালে পুলিশ যেভাবে জনগণকে সেবা দিয়েছে, তা সত্যিই অভূতপূর্ব। পুলিশকে বিশ্বমানের করতে চাই। এজন্য যা যা করা দরকার, আমরা তা-ই করছি।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়াম ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশ রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে দেশ জঙ্গিমুক্ত হয়েছে। পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটসহ (এটিইউ) বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট করা হয়েছে। পুলিশের জন্য যখন যেটা প্রয়োজন আমরা সেটাই করে যাচ্ছি। পুলিশ স্টাফ কলেজকে বিশ্বমানের করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে যেভাবে কাজ করছেন ভবিষ্যতেও সেভাবেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আরও সফলতার সঙ্গে কাজ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তারা বেশকিছু যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করেছেন। কিছু অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেছেন। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যেসব দাবি-দাওয়া পূরণ করতে পারব, সেগুলো অচিরেই পূরণ করা হবে। যেসব দাবি-দাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শের প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে আমরা তার সঙ্গে কথা বলব। পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। পুলিশ বাহিনীকে আমরা ঢেলে সাজিয়েছি। নতুন নতুন ইউনিট সৃজন করেছি, জনবল বৃদ্ধি করেছি। বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেসব ইউনিট প্রয়োজন ছিল, সেগুলো আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সব মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।
এএ