দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। করোনার নতুন ধরণ অমিক্রণ দ্রুতই বিস্তার লাভ করছে। সংক্রমণ এখন ভয়াবহ পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী। আজ পবিত্র জুমাবার উপলক্ষে করোনা থেকে পরিত্রাণ এবং সকল প্রকার বালা-মুসিবত থেকে মুক্তির জন্য হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সারাদেশে মসজিদে মসজিদে সম্মিলিত দোয়া কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সম্মানিত মহাসচিব, আলহাইআতুল উলয়া লিলজামিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশের জনাব কো-চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান সাহেব আজ জামিয়া দারুল আরকাম আলইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামে মসজিদে জুমআর সময় সমবেত মুসল্লীদেরকে নিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে করোনা থেকে মুক্তি , সুরক্ষা ও পরিত্রাণের জন্য, সেই সাথে সব রকমের বিপদ-দুর্যোগ থেকে , যাবতীয় অসুস্থতা ও রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য কায়মনোবাক্যে দুআ করেছেন। এছাড়াও তিনি যুব সমাজের অশ্লীলতা , পাপাচার ও মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য, দেশে-প্রবাসে কর্মরত সকল ভাইদের বরকতপূর্ণ রিযিকের জন্য বিশেষভাবে দুআ করেছেন।
জুমাপূর্ব আলোচনায় তিনি মুসল্লীগণকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলার এবং সবাইকে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, করোনা থেকে সুরক্ষা ও পরিত্রাণ পেতে চাইলে আমাদেরকে সবার আগে আল্লাহর কাছেই ফিরে আসতে হবে। আল্লাহর উপর ইয়াকীন-বিশ্বাস ও তাওয়াক্কুলকে মজবুত করতে হবে। সেই সাথে আমাদের আমলকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। তাহলেই আমরা কুরআনের ওয়াদা মত 'হায়াতুন তাইয়িবা'- নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও বিপদাপদ মুক্ত জীবন লাভ করতে পারবো।
আলোচনায় বিশেষভাবে তিনি চারটি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।
এক. মুসলমানদের সর্বস্তরে নামাজের বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। যারা নিয়মিত নামায পড়ে আল্লাহ তাদের দায়িত্বশীল হয়ে যান।
দুই. সকল প্রকারের গোনাহ ও পাপাচার ছেড়ে বেশি বেশি তাওবা - ইস্তিগফার করতে হবে। তাওবা-ইস্তিগফার আল্লাহর রহমত টেনে আনে।
তিন. দুআ ও যিকির মুমিনের অনেক বড় হাতিয়ার। বর্তমান পরিস্থিতিতে সকাল-সন্ধ্যায় বিশেষতঃ হেফাজত ও নিরাপদতার বিষয়ে হাদীসে বর্ণিত দুআগুলো পাঠের ব্যাপারে নিয়মিত যত্নবান থাকতে হবে।
চার. সামর্থ্য অনুসারে নিয়মিত দান - সদকা করতে হবে, পরিমাণে অল্প হলেও সদকা অনেক বিপদাপদের দরজা বন্ধ করে দেয়। আল্লাহ তাআলা সবাইকে তাওফিক দান করুন।
এএ