আসন্ন সেচ মৌসুম।এ সময়ে গরমের পাশাপাশি সেচের কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তাই এর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নানান পরিকল্পনা নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তারপরও এ সময় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে বলে বিতরণ কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে। ফলে সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য বলছে, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সেচ মৌসুম চালু থাকে। গত মে মাসে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৯৭ মেগাওয়াট; ২০২০ সালে ছিল ১১ হাজার ৯৭৭ মেগাওয়াট। চলতি সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদা ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে শুধু সেচের জন্য ২০২১ সালে বিদ্যুৎ লেগেছে ২ হাজার ৩১৫ মেগাওয়াট, যা ২০২২ সালের জন্য প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ মেগাওয়াট।
সংশ্নিষ্টরা বলছেন, দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। জ্বালনি সংকট ও বিতরণ-সঞ্চালন সীমাবদ্ধতার কারণে সক্ষমতার এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় না। এ পর্যন্ত দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৩ হাজার ৭৯২ মেগাওয়াট। গত বছরের ২৭ এপ্রিল এ রেকর্ড হয়।
সানবিডি/এনজে