বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। ওপেকভুক্ত দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের পরই তেলের মূল্য হঠাৎ করে বেড়ে গেল। যদিও গত সপ্তাহে তেলের দাম ছিল নিম্নমুখী।
বৃহস্পতিবার যে তেল প্রতি ব্যারেল ছিল ৩০ ডলারের নিচে, শুক্রবার নিউইয়র্কের বাজারে তা এক লাফে ৩৩ দশমিক ৩৬ ডলারে বিক্রি হয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানিমন্ত্রী বলেছেন, ওপেকের সদস্য দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেয়ার ব্যাপারে একমত।
অন্যদিকে ভেনিজুয়েলার তেলমন্ত্রী বলেছেন, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো এ সংক্রান্ত চুক্তি সমর্থনের পথেই রয়েছেন।
যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যেভাবে পড়ে গিয়েছিল, তারপর তেলের বাজার সামান্য ঘুরে যাবার ফলে অনেক বিনিয়োগকারীদের হয়তো দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়বে।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তেলের দাম গত ১২ বছরে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমে যায় ২৬ দশমিক ০৫ ডলারে, পরে তা একটু বাড়লেও দাম নিচের দিকেই থাকে। তবে ২০০৯ সালের পর শুক্রবার একদিনে সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ল।
কমার্স ব্যাংকের বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের তেলের উৎপাদন কমায়, তাহলে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৫০ ডলারে উঠে যেতে পারে।
আর তেলের দাম যেভাবে পড়েছিল তাতে এটি খুব তাড়াতাড়ি আবার বাড়বে না বলে সবাই ধারণা করছিল।
যদিও তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়ে রাশিয়ার মতো বড় দেশগুলো এখনও কোনো ঘোষণা না দেয়ায়, ওয়াল স্ট্রিটের এই প্রতিবেদন নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস