ক্রমেই বাড়ছে ভারতে ইস্পাতের চাহিদা।চলতি বছর এমন ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত থাকবে। চাহিদা পূরণে ধাতব পণ্যটির উৎপাদন বাড়াচ্ছে ইস্পাত কোম্পানিগুলো। করোনার প্রভাব কমে যাওয়ার পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নয়ন চাহিদা বৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি বন্ড ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি মুডিস ইনভেস্টর সার্ভিস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে নভেল করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি বেগবান হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার পরিকাঠামো নির্মাণ খাতে ব্যয় বাড়িয়েছে। এ দুটি বিষয় দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে টেকসইভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করছে। ভবন নির্মাণকাজে বিপুল পরিমাণ ইস্পাতের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে।
মুডিসের পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনও ইস্পাতের চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২০ সালে মহামারী প্রতিরোধে আরোপিত লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধের কারণে ভারতে ইস্পাতের চাহিদা ১২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে। তবে গত বছর এ পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকে মোড় নেয়। চাহিদায় শক্তিশালী পুনরুদ্ধার ঘটে। ফলে চলতি বছর দেশটিতে ইস্পাতের চাহিদা ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়বে। তবে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আরো ভয়ানক আকার ধারণ করলে এ পূর্বাভাসে পরিবর্তন আসতে পারে।
কেয়ার রেটিংস সম্প্র্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২২ সালে ভারতে ইস্পাতের ব্যবহার বেড়ে ১১ কোটি ১০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের প্রভাবে দেশটিতে ইস্পাতের ব্যবহার কমে ৮ কোটি ৯৩ লাখ টনে নেমে গিয়েছিল।
প্রাক্কলিত হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশটিতে ১০ কোটি ৪০ লাখ টন ইস্পাত ব্যবহার হয়েছে। এর মানে দাঁড়ায়, গত বছর দেশটিতে ইস্পাতের ব্যবহার বেড়েছে ১৭ শতাংশ।
সানবিডি/এনজে