গত ৩ বছরে নানা অভিযানে বিভিন্ন কৌশলে চোরাচালানকৃত প্রায় ৮০ মণ স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। আজ শনিবার রাজধানীর আইডিইবি ভবনে ‘চোরাচালন ও শুল্ক ফাঁকি রোধে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার এ তথ্য জানান তিনি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. মইনুল খান বলেন, গত ৩ বছরে নানা অভিযানে বিভিন্ন কৌশলে চোরাচালানকৃত প্রায় ৮০ মণ স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অভিযানে গত ৩ বছরে জব্দ হওয়া স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। বিভিন্ন সময়ে স্বর্ণ জব্দের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতার কারণে কমপক্ষে আরও ৫০০ মণ স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধ করা হয়েছে। ড. মইনুল খান বলেন, দেশের বিভিন্ন রুটে আমদানির সময় জব্দ চোরাচালানের স্বর্ণ দেশীয় আইনানুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে।
সেমিনারে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ বলেন, গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গালের মধ্যবর্তী হওয়ায় বিভিন্ন দেশের চোরাচালান রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশ। তাই ঝুঁকিও অনেক বেশি। আমাদের গোয়েন্দারা যা আটক করছে- তা মূল চোরাচালানের মাত্র ১৫-২০ শতাংশ। আর বাকি ৮০ শতাংশই ধরাছোয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই চোরাচালান রোধে সব কতৃপক্ষের সমন্বয়ে কাজ করার তাগিদ দেন তিনি।
সেমিনারে আরও উপস্থিত আছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ. মান্নান, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সানবিডি/ঢাকা/আহো