বাংলাদেশ থেকে আরও ১৫ লাখ শ্রমিক নেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। কিন্তু, এতে বাধ সাধছে, দেশটির স্থানীয় শিল্প মালিকদের সংগঠন ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারার (এফএমএম)।
সংগঠনটি বলছে, সরকার আগে এই ১৫ লাখ শ্রমিকের কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করুক। অবৈধদের বৈধতা দিক। তা না হলে দেশে অবৈধ শ্রমিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা চায় না, এই বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করুক।
গতকাল শুক্রবার সংগঠনের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে নতুন শ্রমিক আনার আগে মালয়েশিয়ার সরকারকে পুরাতনদের বৈধতা দেওয়ার আহ্বানও জানায় এফএমএম। মালয়েশিয়ার একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়।
সংগঠনটি জানায়, কোনো ধরনের এজেন্ট বা তৃতীয় পক্ষের কোনো প্রতিষ্ঠানের হস্তক্ষেপ ছাড়াই এসব নতুন বাংলাদেশিকে নিয়োগ দেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে সমঝোতা খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশ থেকে জি-টু-জি প্লাস (সরকার থেকে সরকার) প্রক্রিয়ায় আগামী ৩ বছরে ১৫ লাখ শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, এই সমঝোতা স্মারক কার্যকর হলে ২০১২ ও ২০১৪ সালের এ-সংক্রান্ত চুক্তি বা সমঝোতাগুলো বাতিল হবে। তিনি বলেন, আগের বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) এবং জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় এবার সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো হবে।
এই চুক্তির আওতায় কাজ নিয়ে মালয়েশিয়ায় যেতে মাথাপিছু ৩৪ থেকে ৩৭ হাজার টাকা খরচ হবে এবং এই টাকা নিয়োগকর্তাই বহন করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির বড় বাজার মালয়েশিয়া। বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ বাংলাদেশি সেখানে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস