সিলেটের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয় পেলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মাহমুদুল হাসান জয়, মঈন আলী ও শেষ দিকে সুনিল নারিনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা।
৮ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিপিএল অষ্টম আসরের প্লে অফ নিশ্চিত করল দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা। তবে সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বরিশাল।
নিজেদের প্রথম আট ম্যাচের মধ্যে ৬টিতে হেরে আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় সিলেট। বুধবার নিজেদের নবম ম্যাচে ঘরের মাঠ সিলেটেই হেরে গেলো দলটি।
বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে সিলেট। ইনিংসের শুরু থেকেই এনামুল হক বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ইনগ্রাম।
১২.২ ওভারে ১০৫ রানের জুটি গড়ে ফেরেন জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে যাওয়া ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ৩৩ বলে চার বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৪৬ রান করেন বিজয়।
বিজয় আউট হলেও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন কলিন ইনগ্রাম। ইনিংস ওপেন করতে নেমে একেবারে শেষ ওভারে উইকেট হারান তিনি। ইনগ্রাম ৬৩ বলে ৯টি চার ও তিন ছক্কায় ৮৯ রান করেন। তার ব্যাটিং শৈলীতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২২ রানে ওপেনার লিটন দাস ও ফাফ ডু প্লেসির উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় কুমিল্লা। মঈন আলীকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়েন তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ৩৬ বলে চার বাউন্ডারি আর দুই ছক্কায় ৪৬ রান করে ফেরেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী।
এরপর একাই লড়াই করে যান জয়। শেষ দিকে জয়ের জন্য ১৯ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ২২ রান। খেলার এমন অবস্থায় আলাউদ্দিন বাবুর জোড়া আঘাতে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল হাসান ও আরিফুল হক। ৫০ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার ও দুই ছক্কায় ৬৫ রান করে ফেরেন জয়। শূন্য রানে বোল্ড হন আরিফুল।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ২২ রান। সিলেটের পেসার আকাশ স্বাধীনের করা ওভারে দুই চার আর এক ছক্কায় ১৯ রান আদায় করে নেন সুনিল নারিন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩ রান। আল্লাউদ্দিন বাবুর করা শেষ ওভারের প্রথম চার বলে মাত্র ২ রান নেওয়ার সুযোগ পান নারিন ও আবু হায়দার রনি। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন রনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট: ২০ ওভারে ১৬৯/৫ রান (কলিন ইনগ্রাম ৮৯, এনামুল হক বিজয় ৪৬)।
কুমিল্লা: ১৯.৫ ওভারে ১৭৩/৬ রান (মাহমুদুল হাসান ৬৫, মঈন আলী ৪৬, নারিন ২৪*)।
ফল: কুমিল্লা ৪ উইকেটে জয়ী।
এএ