পয়েন্ট টেবিলের গ্যাঁড়াকলে আটকে শেষ চারের ভাগ্য ঝুলে রইল খুলনা টাইগার্সের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হারতে হলো তাদের। যার ফলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল কুমিল্লা। আর ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে শেষ চারের লড়াইয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল খুলনা।
এই ম্যাচ হারায় শনিবারের একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে খুলনার ডু-অর-ডাই ম্যাচ। সেই ম্যাচে জয়ের দেখা না পেলে বিপিএল মিশন শেষ হয়ে যাবে মুশফিকুর রহিমের দলের।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে কুমিল্লাকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় খুলনা। ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার ওপেনার লিটন দাস রান তোলেন দ্রুত। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসানকে ১১ রানে ফেরান নাবিল সামাদ। লিটন ১৭ বলে ৩টি ছয় ও চারটি চারে ৪১ রান করে বিদায় নেন থিসারা পেরারার বলে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর ফাফ ও মঈন আলী মিলে ৪৬ রানে যোগ করেন ৮৩ রান। ফাফ ৩৬ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নেন সৌম্য সরকারের বলে ক্যাচ দিয়ে। শেষ পর্যন্ত মঈনের ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান তোলে কুমিল্লা। খুলনার পক্ষে ২ উইকেট নেন পেরেরা। ১টি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ, নাবিল সামাদ, শেখ মেহেদী ও সৌম্য সরকার।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বালির বাঁধের মতো ভেঙ্গে পড়ে খুলনার ব্যাটিং লাইন-আপ। ওপেনার রনি তালুকদারকে রানের খাতা খুলতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান, ফেরান তার প্রথম ওভারের প্রথম বলেই। দ্বিতীয় বলে আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফেরান ১৬ (৭) রানে। ইয়াসির আলী ১৮ (১৯) রান করে মঈনের বলে ক্যাচ দেন প্লেসির হাতে। মুশফিক এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। আবু হায়দারের বলে সুনিল নারিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
সৌম্য সরকার থিতু হতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন, সাজঘরে ফেরেন ২৫ বলে ২২ রান করে মঈনের বলে। মাত্র ৪৪ রানে টপ-অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়া দলকে স্বস্তি দিতে পারেননি সিকান্দার রাজা, শেখ মেহেদীরা। সিকান্দার ৮, শেখ মেহেদী ফেরেন ১১ রান করে। শেষ দিকে থিসারা পেরেরার ২৬ রান হারের ব্যবধান কমিয়েছে কেবল।
খুলনাকে হারিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলা নিশ্চিত করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
কুমিল্লার হয়ে ৩ উইকেট নেন আবু হায়দার। ২টি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও মঈন আলী। ১টি উইকেট নেন তানভির ইসলাম।
এএ