মহামারি করোনার তীব্র প্রকোপের কারণে ভারতের চা রফতানি খাত মন্দা পরিস্থিতির মুখে পড়ে। সরবরাহসংক্রান্ত নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়ায় রফতানি আশঙ্কাজনক হারে কমে যায়। গত বছর এসব প্রতিবন্ধকতা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে ২০২১ সালের ১১ মাসে দেশটির চা রফতানিতে নিম্নমুখিতা অব্যাহত ছিল।
এ বিষয়ে সম্প্রতি ভারতের চা বোর্ড এক প্রতিবেদনে জানায়, বিদায়ী বছরের ১১ মাসে ভারতের চা রফতানি কমে ১৭ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার কেজিতে নেমেছে। আগের বছরের একই সময় রফতানির পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার কেজি।
বাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, কনটেইনারের তীব্র সংকট রফতানি কমে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া উচ্চমাত্রার জাহাজ ভাড়া ও ইরানের সঙ্গে মূল্য পরিশোধকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতাও রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
ভারত থেকে যেসব অঞ্চল চা আমদানি করে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্লক কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটস (সিআইএস)। গত বছরের ১১ মাসে ব্লকটি ভারত থেকে ৪ কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার কেজি চা আমদানি করে। অথচ ২০২০ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার কেজি।
ভারতীয় চায়ের দ্বিতীয় শীর্ষ ক্রেতা ইরান। গত বছরের জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত দেশটি ভারত থেকে ২ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার কেজি চা আমদানি করে। আগের বছরের একই সময় আমদানির পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ১৬ লাখ কেজি। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ব্রিটেনে ভারতীয় চায়ের বড় বাজার রয়েছে।
চা বোর্ড বলছে, রফতানি কমলেও ১১ মাসে চা রফতানি থেকে ভারতের আয় বেড়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত আয়ের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬৯৮ কোটি ৪৭ লাখ রুপি। গত বছরের একই সময় আয় বেড়ে ৪ হাজার ৭৩৭ কোটি ৮৮ লাখ রুপিতে উন্নীত হয়।
সানবিডি/এনজে