চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লবণ, চিনি, রসুন ও ডালের দাম বেড়েছে। এছাড়া সবজির বাজার প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে।
রোববার রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলণী মার্কেট, শান্তিনগ ও কাপ্তান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি চিনির ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে চিনির দাম ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা যাচ্ছে বলে চিনির দাম বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম কেজিতে প্রায় ১৫ টাকা বেড়ে ১২৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে শুক্রবার। দেশি ডাল বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন মতিঝিল বাজারের ব্যবসায়ী বাবুল।
শান্তিনগরের কাঁচাবাজারে ক্রেতা সাইদুর রহমান বলেন, এ দেশে সরকার বলে তো কিছু নেই। তাই বাজারে নৈরাজ্য চলে। যার যখন খুশি দাম বাড়ায়। তদারকির কেউ নেই।
ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে পরিশোধক কোম্পানিগুলো লবণের বাড়তি দাম নিতে শুরু করেছে। বাজারে মোটা লবণ ২২ টাকা ও চিকন লবণ ৩২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সরবরাহকারীরা বলছেন, অপরিশোধিত লবণ সরবরাহে সংকট ও নভেম্বরে বৃষ্টি হওয়ায় ভালো উৎপাদন হয়নি। এখন আবার কক্সবাজারে লবণের উৎপাদন শুরু হয়েছে। সাধারণত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম।
এ বিষয়ে কাপ্তান বাজাররে পাইকারি বিক্রেতা হারুন বলেন, কক্সবাজার থেকে লবণের সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বাড়তির দিকে। সেখানে উৎপাদন শুরু হলে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
মুরগির ডিমের ডজন ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ৯৬ থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। তবে বাজারে আলু, শাকসবজি ও কাঁচা তরকারির দাম বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে।
গরুর মাংসের কেজি ৩৮০ টাকায়, খাসি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ফার্মের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়।