নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে গঠিত অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটিতে প্রস্তাব করা সব নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। যেসব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নাম প্রস্তাব করেনি তারা সোমবার বিকেলে ৫টা পর্যন্ত নাম প্রস্তাব করতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে একথা বলেন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি তৃতীয় দফায় দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। বৈঠকে অংশ নিতে দেশের ২৩ বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সার্চ কমিটি।
এ দিনের বৈঠকে অংশ নিয়েছেন—শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ ও গোলাম কুদ্দুস, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যন্ট কর্নেল সাজ্জাদ আলী জহির, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি নুরুল আলম, গীতিকার ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ড. আইনুন নিশাত, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ড. কাজী খলীকুজ্জমান, প্রজন্ম ৭১ এর আসিফ মুনির তন্ময় ও ডা. নুজহাত চৌধুরী, ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবীর, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদসহ আরও কয়েকজন।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামত নিয়ে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাব করবে। প্রস্তাব করা নাম থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।
নির্বাচন কমিশনে স্থান পেতে ২৪টি রাজনৈতিক দল ছাড়াও ছয়টি সংগঠনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে তিন শতাধিক নাম পেয়েছে অনুসন্ধান কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।
এএ