সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় খেসারি ডাল উৎপাদন বৃদ্ধি বাড়ছে।লবণাক্ততার কারণে যেখানে অন্য সব ফসল উৎপাদন করতে পারেন না কৃষক, সেখানে কম খরচে খেসারি ডাল উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় খেসারি ডাল উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার টনের বেশি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯৪ টন, কলারোয়ায় ৬২ টন, তালায় ৯৩ টন, কালিগঞ্জে ২ হাজার ৬৬ টন, আশাশুনিতে ২০ টন, দেবহাটায় ৩৩ টন এবং শ্যামনগরে ১ হাজার ২০০ টন।
সূত্রটি আরো জানায়, গেল মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে জেলায় উৎপাদন লক্ষ্য বেড়েছে অন্তত ৭০০ টন। গত মৌসুমে জেলায় খেসারি ডাল উৎপাদন হয়েছিল ২ হাজার ৮০০ টন। এদিকে সরকারি লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে জেলায় এ ডালের আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, জেলার উপকূলীয় এলাকায় খেসারি উৎপাদন বাড়ছে। তাছাড়া ফসলটির উৎপাদন খরচও খুবই কম। ফলে উপকূলীয় এলাকার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা খেসারি ডাল উৎপাদনে আগ্রহী বেশি।
সানবিডি/এনজে