চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নির্বাচনি সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ২৩ মামলায় ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক।
তিনি বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাতকানিয়ার ১৬টি ইউনিয়নে ভোট হয়। ভোট চলাকালে সকাল সোয়া ১০টার দিকে খাগরিয়া ইউনিয়নের ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কেন্দ্রের পাশে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
‘এ সময় সমর্থকরা দা, লাঠি, ছোরা ও বন্দুক নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ওই দুই ওয়ার্ডের কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা হয়।’
পুলিশ সুপার জানান, পরবর্তী সময়ে সহিংসতায় জড়িতদের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এর ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে সাতকানিয়ার মাইজপাড়া থেকে সামশুদ্দিন ওরফে নিশানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার তথ্যের ভিত্তিতে খাগরিয়ার জোড়ারকুল সাচি মিয়ার বাড়ির সাকিবের নির্মাণাধীন ঘর থেকে একটি এলজি উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতকানিয়া থানা পুলিশ সোমবার সকালে খাগরিয়া থেকে জয়নাল আবেদীন ওরফে লেদাইয়াকে গ্রেপ্তার করে। তিনিও সহিংসতায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার দেয়া তথ্যমতে, তার বাড়ি থেকে একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন, ‘নির্বাচনি সহিংসতায় এখন পর্যন্ত উপজেলায় ২৩টি মামলায় মোট ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘এর মধ্যে সাতটি মামলা নির্বাচনের আগে ও ১৬টি নির্বাচন-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে করা হয়েছে।’