৩৪ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডারদের চাকরির দাবিতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ করেছে এক চাকরি প্রার্থী। ৩৪ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার ওই চাকরী প্রার্থীর নাম নূর ইসলাম নূর। কেরোসিনের আগুনে আহত হওয়া নূর ইসলাম ‘৩৪ তম বিসিএস পাশ ক্যাডার বঞ্চিত ফোরাম’ এর সমন্বয়ক।
শনিবার দুপুরে রাজধানী শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের সামনে ‘৩৪ তম বিসিএস পাশ ক্যাডার বঞ্চিত ফোরাম’ব্যানারে ৩৪ তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলে কোটা পদ্ধতি সঠিক ভাবে অনুসরণ এবং ৬৭২ টি শূণ্য পদে উত্তীর্ণ বঞ্চিতদের ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের এবং সকল নন-ক্যাডারদের চাকরির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সময় তারা পিএসসি’র দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের স্লোগান দিতে থাকে। এরপর তারা প্রজন্ম চত্বর থেকে শাহবাগ ৪ রাস্তার মোড় অবরোধ করতে গেলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দেয়। এই সময় ওই চাকরি প্রার্থী তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ক্যাডার বঞ্চিত অন্য প্রার্থীদের চেষ্টায় আগুন নিভানো হলেও তার হাত এবং পেটের চামড়া পুড়ে যায়। এ সময় তার সহযোদ্ধারা রিক্সায় করে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ক্যাডার বঞ্চিতরা শাহবাগ রাস্তা অবরোধ করে বসে। মিনিট দশেক পরে পুলিশ জোর করে আহত নূরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালে নিয়ে যায়।
গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কারণ সম্পর্কে নূর ইসলাম নূর বলেন, পিএসসি আমাদের মূল্যবান ৩ টা বছর কেড়ে নিছে। এখন আমাদের আর কিছু করার নাই। আমাদের পুজি নাই যে আমরা ব্যবসা করবো। সব থেকে বড় কথা পিএসসি আমাদের বঞ্চিত করছে।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে ৩৪ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে ৩ দফা দাবি তুলে ধরে। যার মধ্যে রয়েছে ৩৪ তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলে কোটা পদ্ধতি সঠিক ভাবে অনুসরণ করে মেধা ও প্রাধিকার কোটা আলাদা করে পুনরায় ফলাফল প্রকাশ করা, ৩৪ তম বিসিএস এর কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের ৬৭২ টি শূণ্য পদ ৩৪ তম বিসিএস পাশ নন ক্যাডার প্রার্থী থেকে পূরণ করা এবং সরকারের প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর শূণ্যপদ গুলো ৩৪ তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের দারা পূরন করা।
আন্দোলনরত এক চাকরী প্রার্থী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছি। আমাদের অপেক্ষার পালা শেষ। আমাদের মনের দাবি পূরণ না হলে আমরা আজরাঈলের ডানায় ভর করে একবার নয় বার বার আততায়ীর বেশে হাজির হবো। আমাদের বাবা-মা আমাদের দিকে চেয়ে রয়েছে। পিএসসি যদি আমাদের বাবা-মা’র দুঃখ কষ্ট যদি না দেখে তাহলে আমাদের রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে আমরা চেষ্টা করবো।
সানবিডি/ঢাকা/আহো