হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ ৩০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের জুন নাগাদ এই টার্মিনাল উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)-এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ। দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। শ্রমিকরা দিন রাত পালাক্রমে কাজ করছেন। যেভাবে কাজ চলছে তাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা টার্মিনালটি চালু করতে পারব।
বেবিচক সূত্রে জানা যায়, শাহজালাল বিমানবন্দরে বর্তমানে বছরে ৮০ লাখ যাত্রী সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ হলে এই বিমানবন্দরে সেবা দেওয়া যাবে ২ কোটিরও বেশি যাত্রীকে।
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২৩ সালের জুনেই যেন তৃতীয় টার্মিনাল চালু করে দেওয়া যায়। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে একদিনও কাজ বন্ধ করিনি। যেভাবে কাজ চলছে তাতে আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই টার্মিনালটি যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য খুলে দিতে পারব।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ ও সম্প্রসারণের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন এবং খসড়া মাস্টারপ্ল্যান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তোলা হয়। এরপর ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর বিমানবন্দরটি নির্মাণে অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। শুরুতে টার্মিনালটি নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ান হয়। সবমিলে এখন প্রকল্পটির খরচ ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকারও বেশি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৫ হাজার ২৫৮ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। বাকি ১৬ হাজার ১৪১ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে জাপানের সংস্থা জাইকা।
সানবিডি/এনজে