গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। কিন্তু ৫ মিনিট না যেতেই আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়ের ভ্রমণের তথ্য গোপন করার অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই ম্যাচ। প্রায় ৫ মাস পর অবশেষে সুপার ক্লাসিকোর সেই অমীমাংসিত ম্যাচ নিয়ে রায় দিলো ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা।
যদিও দুদিন তারা ছিলেন ব্রাজিলে, খেলতে নেমেছিলেন ম্যাচও। এরপর হুশ ফেরে ব্রাজিলের কর্মকর্তাদের। খেলার পাঁচ মিনিট হয়ে যাওয়ার পর এসে বন্ধ করে দেন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ।
এই ম্যাচটি কি আবার হবে নাকি সব পয়েন্ট দেওয়া হবে আর্জেন্টিনাকে, এমন আলোচনা ছিল। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার আলোচিত ম্যাচটি নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ফিফা। ম্যাচটা হবে আবার, নিষেধাজ্ঞা এসেছে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের ওপর। ফিফার এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয় আলবিসেলেস্তেরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এই সিদ্ধান্তে ব্যাপারে আপিলের কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়ে। তিনি লিখেছেন, ‘এএফএর প্রেসিডেন্ট হিসেবে, আমি সব প্রয়োজনীয় চেষ্টা করার ও ব্রাজিলের সঙ্গে কোয়ালিফাইং ম্যাচের বিষয়ে ফিফার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। জাতীয় দল সবসময় আমাদের অগ্রাধিকার।’
সোমবার এক বিবৃতিতে ফিফা নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার এ মহারণ কবে মাঠে গড়াবে সে কথা জানানো হয়নি সেই বিবৃতিতে। তবে নতুন ঘোষণা অনুসারে ব্রাজিল হারিয়েছে ম্যাচটা আয়োজন করার দায়িত্ব। ফিফা জানিয়েছে, ম্যাচটা অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ এক ভেন্যুতে।
সেই ম্যাচ নিয়ে ঘোষণা এখানেই শেষ নয়। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দেশের ফেডারেশনকেই জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে। নতুন ঘোষণা অনুসারে লিওনেল স্ক্যালোনির দলের শক্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে অনেকটাই। সেই ম্যাচে মূল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল যাদের খেলাকে ঘিরে, সেই চারজনকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সেই চার খেলোয়াড় হলেন, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া ও জিওভানি লো চেলসো।